Image

বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 2 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা

বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা

বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা

গেলো কয়েক সপ্তাহে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শঙ্কার মুখে পড়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন। আর মাত্র দেড় মাস বাদেই ৩ অক্টোবর থেকে যা শুরু হওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশে। আইসিসি ও সতর্কভাবে পর্যবেক্ষন করছে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে। এমনকি ভাবছে বিকল্প ভেন্যুর কথাও।এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শুনিয়েছেন আশার কথা।

আজকের পত্রিকাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা বলবেন জানিয়ে আসিফ বলেন,  ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ জানা গেছে, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে এরই মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বরাবর চিঠি দিয়েছে বিসিবি।

বর্তমানে বোর্ডের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বলেন,  ‘নেতৃত্বের ব্যক্তি নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমরা প্রসেসের জন্য, সিস্টেমের জন্য আন্দোলন করেছি। সিস্টেমে বিশ্বাস করি, আমরা সিস্টেমের সংস্কার করব। একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করব, সেখানে যিনিই নেতৃত্বে আসবেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।’

তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের আশা রাখেন বলে তিনি জানান,, ‘আমি তো মনে করি এই দায়িত্ব আমার কাছে কমপ্লিমেন্টারি। তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণেই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। এই সরকার পরিচালনায় ২৫ থেকে ৮৫ বছর পর্যন্ত মানুষ থাকছেন। অভিজ্ঞদের বিশাল অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের শক্তির মিশ্রণ রয়েছে। তারুণ্যের শক্তি দীর্ঘ সময় পর ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করতে পেরেছে দেশকে। তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণেই ভালো কিছু করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ে অভিজ্ঞরা থাকবেন। তাঁরা আমাকে সাফল্য পেতে সহায়তা করবেন বলে মনে করি।’

Details Bottom