রিয়াদ-সাকিবের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭
রিয়াদ-সাকিবের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭
রিয়াদ-সাকিবের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭
প্রথম ওয়ানডে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের জন্য জয়ের বিকল্প নেই। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৫ রানে বাংলাদেশ হারায় ৭ম উইকেট। এরপর ৮ম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। এই দুইয়ের রেকর্ড ৯২ রানের পার্টনারশিপে ভর দিয়ে বাংলাদেশ পায় চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তানজিম। মাহমুদউল্লাহ ৬২ রানে আউট হলে ২২৭ করে থামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস অল্পতে শেষ করতে জেয়ডেন সিলস মাত্র ২২ রান খরচায় নেন ফোর-ফার।
জেয়ডেন সিলস, গুদাকেশ মতির বোলিংয়ের সামনে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। একটা সময় শঙ্কা জাগে নির্ধারিত ওভারের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। ২৫.৩ ওভারে ১১৫ রানে পড়েছিল ৭ উইকেট। এরপর ৮ম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে ৯০ বলে ৭৬ রানের জুটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম সাকিবের। আর তাতেই বাংলাদেশ পায় ২২৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভারের ২৫ বল আগেই অবশ্য বাংলাদেশ গুটিয়ে যায়।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। আগের ম্যাচের মতো এদিনও আগ্রাসী শুরু করেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার বিদায় নিয়েছেন দ্রুত। নামের পাশে ২ রান যোগ করতেই জেয়ডেন সিলসের বলে মিড অনে সহজ ক্যাচ হন সৌম্য। ভাঙে ২৬ রানের ওপেনিং জুটি। তিনে নামা লিটন দাস আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রানে। সিলসের বলে অহেতুক পুল খেলতে গিয়ে লিটন দাস হন ক্যাচ।
বাংলাদেশের হারানো প্রথম ৩ উইকেটের সবক'টিই নেন জেয়ডেন সিলস। এরপর উইকেট পার্টিতে যুক্ত হন স্পিনার গুদাকেশ মতি। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দলীয় ৬৪ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ব্যক্তিগত ৪৬ রানে উইকেট হারালে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও জাকের আলিকে শিকার করে বাংলাদেশকে মহা বিপদে ফেলে দেন মতি।
আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে ২৪ রান আসলেও জাকের আলি অনিক ৯ বলে করেছেন কেবল ৩। রিশাদ হোসেন হয়েছেন ডাক। তাকে ফিরিয়ে মারকুইনো মিন্ডলে পান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের স্বাদ। ২৫.৩ ওভারে ১১৫ রানে পড়েছিল ৭ উইকেট। এরপর ৮ম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম।
২৬তম ওভারের সময় ক্রিজে এসে তানজিম সাকিব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে থাকেন ৪৪ ওভার পর্যন্ত। ৬২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে রোস্টন চেজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এর আগেই অবশ্য ৮ম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৯২ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ-তানজিম।
তানজিম সাকিবের বিদায়ের পর রিয়াদও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। পরের ওভারেই জেয়ডেন সিলস তুলে নেন ৬২ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এর আগেই সাকিবকে নিয়ে ৮ম উইকেটে গড়েন বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। ১০৬ বলে ৯২ রান।