পদত্যাগ করতে চাইছেন অধিনায়ক শান্ত
পদত্যাগ করতে চাইছেন অধিনায়ক শান্ত
পদত্যাগ করতে চাইছেন অধিনায়ক শান্ত
৩ ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেতে পারেন তাওহীদ হৃদয়; এমনটাই বলছে দ্য ক্রিকবাজের প্রতিবেদন।
অধিনায়কত্বের ১০ মাস না পেরোতেই তা ছাড়তে চলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ফেব্রুয়ারিতে শান্ত অধিনায়ক হওয়ার পর বার বার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। নিজের পারফরম্যান্সেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। একারণেই সমালোচিত হচ্ছেন বেশ কয়েকমাস ধরেই। অবশেষে নেতৃত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত।
সংবাদমাধ্যম দ্য ক্রিকবাজের দাবি, অধিনায়কত্বের চাপ শান্তর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে তাই চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান তিনি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিসিবি শান্তকে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঠিক করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর তা আর করতে চান না তিনি।
এ ব্যাপারে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, " শান্ত আমাদের জানিয়েছেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরে দলের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নন।" নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয় নিয়ে শান্ত বলেন, "দেখা যাক কি হয়। কারণ আমি এখনও বিসিবি সভাপতির কাছ থেকে এ বিষয়ে শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।" উল্লেখ্য, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা শান্তকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্ত রাজি হননি। জানা যায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু পরে তিনি মত পাল্টান।
নাজমুল হোসেন শান্ত এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারমধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩ টিতে হেরেছে ৬ টিতে। নয়টি ওয়ানডেতে জয় ৩ টিতে, হার ৬ টিতে। ২৪টি টি-টোয়েন্টিতে শান্তর জয়ের সংখ্যা ১০টি, হার ১৪ টি।