ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল ইংল্যান্ড। ওয়ানডের পর সহজে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল স্বাগতিকরা। এবারের ইংলিশ সফরে এসে চরমভাবে ব্যর্থ ক্যারিবীয়রা, একে-একে হার দেখল টানা ৬ ম্যাচে।
ইংল্যান্ডের সাদা বলের নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই করলেন বাজিমাত। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও সব ম্যাচ জিতল তার দল। সাউদাম্পটনে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড পেল ৩৭ রানের জয়।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বেন ডাকেট ও জেমি স্মিথ। ডাকেট মাত্র ২০ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি, স্মিথের অবশ্য লাগে ২৩ বল। শেষ পর্যন্ত স্মিথ ২৬ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ে ৬০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে জুটি। তিনে নামা জস বাটলার ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন।
ইংল্যান্ডকে বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়ে যান ডাকেট। ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষদিকে অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক ও জ্যাকব বেথেলের ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে করে ২৪৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ২৪৯ রানের পাহাড়সম টার্গেট টপকাতে নেমে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। আর তাতেই ৩-০ ব্যবধানে জিত নিল স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার এভিন লুইস আর জনসন চার্লস ব্যর্থ হন চরমভাবে, যথাক্রমে ৯ রান করে বিদায় নেন। অধিনায়ক শাই হোপ অবশ্য ৪৫ রান করে দলকে স্বস্তিতে রাখেন।
শেষদিকে ৪৫ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। তার এমন দাপুটে ইনিংসও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি; কমে কেবল হারের ব্যবধান। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।