নাইমের সেঞ্চুরিতে খুলনার কাছে ৪৬ রানে হারল রংপুর রাইডার্স
নাইমের সেঞ্চুরিতে খুলনার কাছে ৪৬ রানে হারল রংপুর রাইডার্স
নাইমের সেঞ্চুরিতে খুলনার কাছে ৪৬ রানে হারল রংপুর রাইডার্স
চারের চেয়ে বেশি ৬ হাঁকিয়ে ৫৫ বলে বিপিএলে মোহাম্মদ নাইম শেখের প্রথম সেঞ্চুরি। ৬২ বল খেলা নাইম শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নাইমের শতকে দুইশো পেরিয়ে পাহাড়সম সংগ্রহ পায় খুলনা টাইগার্স। ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রংপুর রাইডার্সের ওপেনার সৌম্য সরকার ফিফটি হাঁকিয়ে চেষ্টা করলেও নাইমকে ম্লান করতে পারেননি। রংপুরকে ৪৬ রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল খুলনা।
এবারের বিপিএলে টানা ৮ জয় পাওয়া রংপুর এরপর যেন জিততে ভুলে গেছে, হারের ফোর-ফার পূরণ করে শেষ করল লিগ পর্বের খেলা। বিপরীতে, খুলনা টাইগার্স বাঁচিয়ে রাখল প্লে-অফে খেলার আশা। নাইম শেখের হার-না-মানা ১১১ রানের পর বল হাতে বাজিমাত করেছেন খুলনা টাইগার্সের পেসার মুশফিক হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে নেমে মাত্র ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন মুশফিক৷
প্লে-অফ পর্বে যেতে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে খুলনা টাইগার্স। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে জিততেই হবে তাদের। শুধু জিতলেই হবে না জিততে হবে বড় ব্যবধানে। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে রংপুরের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের দল পেয়েছে ৪৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে জ্বলে উঠেন খুলনার ওপেনার নাইম শেখ। তার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে রংপুরের বিপক্ষে খুলনার পুঁজি ৪ উইকেটে ২২০। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুতে ১২ বলে ২১, তিনে নামা অ্যালেক্স রস রান আউট হন ১২ রানে। ৭.২ ওভারে ৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
সেখান থেকে উইলিয়াম বোসিস্তোকে নিয়ে ঝড় তুলেন নাইম শেখ। দু’জনের জুটিতে ৪৭ বলে আসে ৮৮ রান। বোসিস্তো ২১ বলে ৩৬ করে হার মানলেও নাইম শেখ ছুটেন আগ্রাসন ধরে রেখে। মাত্র ৫৫ বলে পৌঁছান তিন অংকে। যা তার বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। নাইমের সাথে শেষ দিকে ঝড় তুলেন মাহিদুল ইসলাম অংকনও। মাহিদুল শেষ ওভারে ১৫ বলে ২৯ রানে ফিরলেও নাইম অপরাজিত থাকেন ৭ চার ৮ ছক্কার ইনিংস নিয়ে।
২২১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ওপেনার তৌফিক খান তুষার উইকেট হারান ব্যক্তিগত ৯ রানে। তিনে নামা সাইফ হাসান করতে পারেন কেবল ৬। ইফতিখার আহমেদ থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলে ফেরা খুলনা টাইগার্সের পেসার মুশফিক হাসান তুলে নেন ১৯ রানে থাকা ইফতিখারের উইকেট।
তবে উইকেটের আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দলকে জয়ের পথে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। মাঝে তাকে সঙ্গ দিয়ে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শেখ মেহেদী। মোহাম্মদ নওয়াজ এক ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। মেহেদীকে ক্যাচ বানান মিরাজের হাতে, এরপর রংপুর ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহানকে দেন ডাকের স্বাদ।
এরমাঝেই ৩১ বলে সৌম্য সরকারের ফিফটি। সৌম্যের স্বস্তিতে ফেরার দিনে তাকে ভালোভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। মুশফিক হাসান নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। পরের বলেই উইকেটসংখ্যা ৩ করে ফেলেন আজিজুল হাকিম তামিমকে গোল্ডেন ডাক বানিয়ে।
সৌম্য সরকার অবশ্য ইনিংসের শেষ অবদি মাঠে থাকতে পারেননি। হাসান মাহমুদের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রংপুর রাইডার্স করতে পারে ১৭৪ রান। আর তাতে খুলনা টাইগার্স পেল ৪৬ রানের জয়।