বিপিএল অভিষেক মুগ্ধতা ছড়ানো মুগ্ধ’র চোখ বিশ্বকাপে

মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ

ছবি কৃতজ্ঞতা- ডেইলি স্টার

গতি দিয়ে বয়সভিত্তিকেই নজর কেড়েছেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তবে চোটে পড়ে বেশ ভুগতে হয়েছে মাঝে। নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন মাস কয়েক হল। বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বল হাতে নজর কেড়েছেন সবার। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন সুযোগ কাজে লাগিয়ে জায়গা করে নিতে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।

চলতি বছর অক্টোবরে জাতীয় লিগে রংপুর বিভাগের হয়ে অভিষেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। বিকেএসপির হয়ে মার্চে অভিষেক লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে। তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট, ৬ লিস্ট ‘এ’ তে উইকেট ৮ টি। ড্রাফটে দল না পেলেও চট্টগ্রাম পর্বের আগেই মুগ্ধকে দলে টেনে নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। মূলত দলটির টেকনিক্যাল এডভাইজর হাবিবুল বাশারের ইচ্ছেতেই মুগ্ধকে দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন একটি। তবে গতি, স্লোয়ার আর লাইন লেংথে দিয়েছেন পরিণতবোধের প্রমাণ। প্রথমবারের মত এমন মঞ্চে খেলার সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে মুগ্ধ বলেন, ‘সবকিছুই (ম্যাচের অভিজ্ঞতা) ভালো আর যেটা বললেন চান্স পাওয়ার কথা সেটা হল প্রথমে পাইনি পরে হাবিবুল বাশার স্যার সুযোগটা দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচ যেহেতু একটু নার্ভাস ছিলাম টিমমেটরা অনেক সাহায্য করছে। অভিজ্ঞতা বলতে ভালো কেননা প্রথমবার বিপিএলের মত বড় মঞ্চে আমার খেলা। আর ভালো করার জন্য সবাই হেল্প করছে।’

গতি দিয়েই প্রথম নজরে আসেন, নিয়মিত করতে পারেন ১৪০ এর আশেপাশে বল। যদিও আজ (১৮ ডিসেম্বর) বিপিএল অভিষেকে ১৩৫ এর বেশি গতিতে বল করলেও পার করতে পারেননি ১৪০। কারণ হিসেবে জানালেন, ‘সত্যি বলতে স্পিডের দিকে আজ খুব একটা নজর দেইনি, প্রথমবার বলে লাইন লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। গতি বলতে প্রথম ম্যাচ তাই ভয়ে ছিলাম বলে খুব বেশি দিতে পারিনি। পরেরবার হয়তো আরও বেশি দিতে পারব।’

এত বড় মঞ্চে অভিষেকেই দারুণ কিছু করে আলো কাড়লেন, নিশ্চয়ই স্বপ্নের পরিধি বড় হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাকে অনুসরণ করেন আর নিজের পরবর্তী লক্ষ্যই বা কি জানাতে গিয়ে তরুণ এই পেসার বলেন, ‘ফলো বলতে নিজে ভালো করার চেষ্টা করতেছি। ফলো তেমন কাউকে করছিনা নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। টার্গেট হল, সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাই বিশ্বকাপেই নজর। ‘

বাংলাদেশের পেরসারদের চোটে পড়া নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, ইনজুরি থেকে ফেরা ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ পেসার কি ধরনের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট অনুসরণ করছেন জানতে চাইলে জানান, ‘ আসলে ইনজুরিতে পড়লে একটা প্লেয়ার পিছিয়ে যায়। তো কামব্যাক করতে অনেক কষ্ট করতে হয়।’

‘ইনজুরি থেকে মুক্ত হতে হলেও ফিটনেস, রিহ্যাব এসব নিয়ে কাজ করতে হয়। এখন ফিটনেস নিয়ে কাজ করতেছি, রিহ্যাব এখন চলছেনা। ইনজুরি তো কারো ইচ্ছে করে হয়না। হয়তোবা কোন কারণে হতে পারে তবে সবাই চায় ইনজুরি মুক্ত থাকতে। সবাই জানে ইনজুরিতে পড়া মানে তার এক প্রকার পিছিয়ে যাওয়া।’

নাজমুল হাসান তারেক

Read Previous

অধিনায়ক হয়ে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন সাঙ্গাকারা

Read Next

ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের রানের পাহাড়

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share