ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাংলাদেশের, তাই ৫ পরিবর্তন

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাংলাদেশের, তাই ৫ পরিবর্তন
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাংলাদেশের, তাই ৫ পরিবর্তন
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করে আগেভাগেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল অনেকটাই পরীক্ষামূলক যেখানে সামনে তাকিয়ে বেঞ্চ শক্তি যাচাইয়ে মনোযোগ দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এর খেসারত দিতে হয় ম্যাচ হার দিয়ে।
শেষ ম্যাচে পাঁচটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়, অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। বাদ পড়েন ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। একাদশে সুযোগ পান নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তানজিদ হাসান তামিম। তবে এই পরিবর্তনের মধ্যে একমাত্র নাসুম ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।
দলে এত পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, "আমাদের যে ১৬ জনের স্কোয়াড, সবার সামর্থ্য আছে ম্যাচ খেলার। তাসকিন প্রথম ম্যাচেও খেলেছে। সাইফউদ্দিন অনেক ধরে খেলছিল না, তাকে দেখার একটা বিষয় ছিল। তামিম (তানজিদ হাসান) তো আমাদের একজন (নিয়মিত) ওপেনার। সে একাদশে ফিরেছে। হৃদয়য়ের ব্যাপারটি হলো, সে অসুস্থ, জ্বরের কারণে খেলতে পারেনি। আর নাসুম একটি ম্যাচ খেললো।"
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটছে দল, জানিয়ে লিটন আরও বলেন, "যখন স্কোয়াড ঘোষণা হয়, এটা বাংলাদেশের সেরা স্কোয়াডই থাকে, ১৬ জন সদস্য। আমাদের কাজ হচ্ছে, এই ১৬ জন থেকে একাদশ বাছাই করা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, বাছাই করা একাদশ যেন ম্যাচ জিততে পারি। প্রথম লক্ষ্য থাকে দল যেন জিততে পারে, সেটা যেই খেলুক না কেন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, যাদেরকে খেলানো হয়েছে, সবাই ভালো পারফর্মার। কিছু কিছু ব্যাপার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করতে হবে। সেজন্যই আজকে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।"
যদিও লিটনের ভাষ্য ভবিষ্যতের কৌশলগত ভাবনার অংশ, তবে হোয়াইটওয়াশের হাতছানি যখন সামনে, তখন এত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা কতটা যৌক্তিক ছিল সে প্রশ্নও উঠছে দর্শক ও বিশ্লেষকদের মাঝে। দল যেমন সামনের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোর জন্য খেলোয়াড় যাচাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি ম্যাচ হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।