এনসিএলের শেষ রাউন্ডে বোলারদের দাপট, মিরপুরে ইমন, মার্শালের রানের বন্যা
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
হোপ,গ্রিভসের প্রতিরোধে টেস্ট পঞ্চম দিনে টেনে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
-
2
জয়সূচক লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে সিরিজ ভারতের
-
3
স্টার্কের দাপটে চাপে ইংল্যান্ড, তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ
-
4
গ্রেভসের দ্বিশতক, রোচের লড়াইয়ে ড্রয়ে বাঁচল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
-
5
ক্রিকেট৯৭ কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যা জানালেন মোহাম্মদ আশরাফুল
এনসিএলের শেষ রাউন্ডে বোলারদের দাপট, মিরপুরে ইমন, মার্শালের রানের বন্যা
এনসিএলের শেষ রাউন্ডে বোলারদের দাপট, মিরপুরে ইমন, মার্শালের রানের বন্যা
দেশের চার ভেন্যুতে ২৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের লড়াই চলছে। শিরোপার অন্যতম দাবিদার সিলেট ও ময়মনসিংহ—দুই দলের ম্যাচেই প্রথম দিনে বোলারদের দাপট দেখা গেলেও ব্যতিক্রম ছিল মিরপুরের ঢাকা–চট্টগ্রাম ম্যাচ। ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের বন্যা বইয়ে দেন ঢাকা বিভাগের দুই ব্যাটার আনিসুল ইসলাম ইমন ও মার্শাল আইয়ুব।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ঢাকা সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। ইনিংসের নায়ক ছিলেন ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন, যিনি ১৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৮৩ রান করে দিন শেষ করেন অপরাজিত থেকে। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব, যিনি মাত্র ১৩২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। দুজন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ২০৩ রানের জুটি। এর আগে আশিকুর রহমান শিবলীর সঙ্গে ইমন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছিলেন ৭২ রান। চট্টগ্রামের হয়ে ইফরান হোসেন ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন।
অন্যদিকে রাজশাহীতে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল বিভাগ প্রথম দিন শেষ করে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে। ইফতেখার ইফতি (৬৩) ও হাফিজুর রহমান (৫৮) ব্যাট হাতে জুটি গড়ে বরিশালের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। সিলেটের বোলারদের মধ্যে মহিউদ্দিন তারেক নেন ৩ উইকেট, আর আবু জায়েদ রাহী দখল করেন ২ উইকেট। বাকিদের মধ্যে নাসুম আহমেদ, সাহানুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব নেন একটি করে উইকেট।
বগুড়ায় খুলনা বিভাগ প্রথম দিন সংগ্রহ করেছে ৯ উইকেটে ৩০২ রান। দলের হয়ে সৌম্য সরকার খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। রংপুর বিভাগের হয়ে ৩ উইকেট শিকার সবচেয়ে সফল বোলার নাসির হোসাইন। এছাড়া মুকিদুল ইসলাম ও সোহেল রানা নেন ২টি করে উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহ ও রাজশাহীর ম্যাচে প্রথম দিনই দারুণ সুবিধায় পৌঁছে যায় ময়মনসিংহ বিভাগ। আগে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী অলআউট হয় মাত্র ২১৯ রানে। নাঈম আহমেদ ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ রানের ইনিংস খেলে দলের একমাত্র লড়াকু ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান করেন ৪৪ রান। ময়মনসিংহের হয়ে আবু হায়দার রনি নেন ৩ উইকেট; আসাদুল্লাহ গালিব ও রাকিবুল হাসান নেন ২টি করে উইকেট। মারুফ মৃধা ও শোভাগত হোম নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু পায় ময়মনসিংহ বিভাগ। প্রথম দিন শেষে তারা সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ৭৩ রান। খালিদ হাসান ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন, আরিফুল ইসলাম রয়েছেন ৫ রানে। ওপেনার নাঈম শেখ করেছেন ৩৩ রান। রাজশাহীর হয়ে আব্দুর রহিম ও মোহর শেখ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনের খেলা শেষে সমীকরণ পরিষ্কার—ময়মনসিংহ নিজেদের শিরোপার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে। সিলেট বিভাগকে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, আর মিরপুরে ইমন–মার্শালের রেকর্ডগড়া দিনের রানে ঢাকাই করেছে রানের বন্যা।
