

বছর দুয়েক পর ফিরেছিলেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই টেস্ট মিলিয়ে ৭৩ রান আহামরি কিছু ছিল না। তবে পারফরম্যান্সের বিবেচনায় নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন ও দলের সামঞ্জস্যের কথা মাথায় রেখেই নাসির হোসেন বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
অজিদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে তেমন কিছু করতে পারেননি নাসির। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কার্যকরী ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন চার নম্বরে তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। তবে নাসির এর বাদ পড়ার ব্যাখ্যা হিসেবে মিনহাজুল জানান,
‘আমরা কিন্তু দুইভাবে ক্রিকেট খেলি। দেশে একরকম, বিদেশে আরেক রকম। এই ধরণের ভারসাম্য রাখতেই আমরা দুইভাবে চিন্তা করি। আমাদের একটা পুল আছে, সেখান থেকেই আমরা খেলোয়াড়দের দলে নেই অথবা বাদ দেই।’
পেস সহায়ক উইকেটে নাসিরের ব্যাটিং দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘এখানে দলের পরিকল্পনা থাকে। কন্ডিশন ও কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখে এবং বাউন্সি উইকেটে ওর ব্যাটিং সক্ষমতার কথা চিন্তা করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে বাইরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজেও জায়গা না পাওয়া তিনি বাউন্সি উইকেটে ভালো খেলার রেকর্ডের কারণে আবারও ডাক পেয়েছেন। প্রোটিয়াদের সাথে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ দলে আছেন পাঁচ পেসার ও দুই স্পিনার।