

অভিজ্ঞতা আর নৈপুণ্যের মিশেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ দলে একটি বড় নাম। তবে, শ্রীলঙ্কা সফরে শততম টেস্টের দল থেকে হঠাৎই ছিটকে পড়েছিলেন রিয়াদ। অবশ্য টেস্ট ফরম্যাটের ফর্মটাও ঠিক পক্ষে ছিলোনা রিয়াদের। একই কারণে বাদ পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজেও। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। আর এই ফেরার নেপথ্যে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বাউন্সি উইকেটে রিয়াদের রয়েছে দারুণ দক্ষতা। আর এই কারণেই টেস্ট দলের বিবেচনায় রাখা হয়েছে সদ্যই সিপিএল খেলে ঘরে ফেরা রিয়াদকে। সংবাদ সম্মেলনে নান্নু নিজের জানালেন, তিনিই চেয়েছেন রিয়াদকে।

“ব্যক্তিগতভাবে আমিই ওকে চেয়েছি দলে। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ইংল্যান্ডে ভালো করেছে। স্কয়ার অব দা উইকেটে যথেষ্ট ভালো খেলে। সে হিসেবে ওর ওপর আমার অনেক বিশ্বাস বলে ওকে চেয়েছি।”
টেস্টে ততটা সফল না হলেও ওয়ানডেতে রিয়াদের ব্যাট যেন শান দেয়া তরবারী। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে গড়েছেন টানা দুই শতক। এ বছরে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের জাদুকরী ফিগারের।
ওয়ানডের রঙিন ঝলমলে ইনিংসগুলোর বিপরীতে টেস্টে বড্ড সাদাকালো রিয়াদের পরিসংখ্যানটা। ঝুলিতে একটা শতক, তাও আবার সেই ২০১০ সালে। তবে সেটাও করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রতিকুল পরিবেশে। সবমিলিয়ে নান্নুর মতে ওয়ানডের ঐ দারুণ ইনিংসগুলোই রিয়াদকে ফিরিয়েছে টেস্টের দলে।
“আমরা চিন্তা করেছি, বিদেশের বাউন্সি উইকেটে সে সবসময় ভালো করে। যেখানে বল দ্রুত ব্যাটে আসে, সেখানে সে ভালো ব্যাট করে। ওই বিবেচনা করে ওকে রাখা হয়েছে।”

সাকিব আল হাসানের দলে থাকাও পরিপুষ্ট করেছে রিয়াদকে ফিরিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে। এটাকেও প্রধান নির্বাচক দাঁড় করিয়েছেন আরেকটি কারণ হিসেবে। “যেহেতু সাকিব নেই, একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান, অভিজ্ঞ একজন দরকার। সেই চিন্তায়ও মাহমুদউল্লাহকে রাখা হয়েছে।”
ওয়ানডেতে তো যোগ্যতার প্রমাণটা বড় পর্দায় অনেকবারই দিয়েছেন রিয়াদ। কিন্তু টেস্টের সাদা পোশাকে এলেই কেমন যেন একটু বিবর্ণই দেখায় বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম শতক হাঁকানো মাহমুদুল্লাহকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়েই টেস্টে নতুন করে যাত্রাটা শুরু হোক ‘দ্য সাইলেন্ট কিলার’র।