

সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের। হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে নিয়মিত। সদ্যই শেষ হওয়া ঘরের মাঠে ভারতকে আতিথ্য দিয়েও জিততে পারেনি ১টি ম্যাচেও। তিন ফরম্যাটের সিরিজে হারতে হয়েছে নয় ম্যাচের সবগুলাতেই।
একদিনের বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ তাই সুতোয় ঝুলে থাকাতে এনিয়ে সমর্থকের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে লঙ্কান ক্রিকেটারদের। ভারতের সাথে সিরিজ শেষ করে লঙ্কানদের এবারের যাত্রা দুবাইতে, পাকিস্তানের সাথে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। ওখানেই দুই দল খেলবে দিবা-রাত্রির টেস্ট। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষটি হবে ৬ অক্টোবর দুবাইয়ের শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে। সেখানেই দুইদল ফ্লাডলাইটের আলোতে গোলাপি বলের মুখোমুখি হবে। গত শীতে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া সফরেও পাকিস্তান একটি দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল।

গত বছর দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তান যেখানে স্বাগতিকরা জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে এই টেস্ট দিয়ে পাকিস্তান দ্বিতীয় বারের মত দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে দুবাইতে। এই সফরে ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে, ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এই সফর। তিন টি-টোয়েন্টির শেষটি হওয়ার কথা আছে লাহোরে, যেখানে ২০০৯ সালে সা-ন্ত্রা-সী হা-ম-লার কবলে পড়েছিল টিম শ্রীলঙ্কা। পিসিবি বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে লহোরের ম্যাচটি সম্পূর্ণ সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের আওতায় খেলানো হবে।
এ বিষয়ে লঙ্কান বোর্ড প্রধান থিলঙ্গা সুমাইথিপাল্লা বলেন, “নিরাপত্তা বিবেচনাতে আমি আমার দলকে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে আগ্রহী, আমাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সেখানে গিয়েছিল এবং সেটি পর্যবেক্ষণ করেছেন”
উল্লেখ্য ২০০৯ সালে লঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর হা-ম-লার পর পাকিস্তানে বন্ধ আছে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। হা-ম-লার ৬ বছর পর ২০১৫ সালে উচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত এক সফর করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এরপর এবছর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ। সেদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতেই এই সপ্তাহে পাকিস্তান দল ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বে বিশ্ব একাদশ দলের সাথে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে সেখানে, যেখানে বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালেরও খেলার কথা আছে।