

প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেটের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই চার উইকেট! বলতে যতটা সহজ করা ঠিক কতটা সহজ সেটা আরাফাত সানিই ভালো বলতে পারবেন।
ব্যাক্তি জীবনে সানি কতটা অসুখে আছেন সেটা সবারই জানা। ৫৩ দিন জেল খেটে এসে ডিপিএলে এমন দুরন্ত পারফর্ম্যান্স! কেই বা চিন্তা করেছিলো। পারিবারিক ঝামেলায় খেলতে পারেননি বিসিএল এর কোন ম্যাচ, জাতীয় লিগে খেলেছিলেন মাত্র এক ম্যাচ।
এবারের ডিপিএল এ প্রথম ম্যাচেই খেলতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে তুলে নেন ৫ উইকেট। বিপক্ষ দল ছিল পারটেক্স।
আজও সেই সানিতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সকালে ফতুল্লাহ’র খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজার বোলিং নেয়াটা মনে হচ্ছিলো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। মনে হবারই কথা। ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ওপেনার জুনাইদ সিদ্দিকি আর মিজানুর রহমানের জোড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোতে থাকে রানের চাকা। ১১৩ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। পর পর দুই উইকেট পড়লেও জুনাইদ এর সাথে জুটি গড়েন আরেক ব্যাটসম্যান মাইশুকুর রহমান। ১৮০ রানে ৩য় উইকেটের পতন হলে আর কেউই দাড়াতে পারেননি সানি-আনামুলদের সামনে।
১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪৫ রান দিয়ে আরাফাত সানি তুলে নেন ৪ উইকেট।৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৬ রান।
২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম দোলেশ্বর এর ওপেনাররাও কম যাননি। ১৪৪ বলে ইমতিয়াজ এর করা ৯৯ রান আর আবদুল মাজিদ এর ৪০ বলে ৪৫ রানের উপর ভর করে জয়ের খুব কাছেই চলে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। শেষ দিকে মার্শাল আয়ুব আর ফরহাদ রেজার ব্যাটে ভর করে ৪৮.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। ব্রাদার্স এর হয়ে নুর আলম নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ব্রাদার্স ইউনিয়নঃ- জুনাইদ সিদ্দিকি ৮৭(১১৫), মিজানুর রহমান ৫৬(৮০)
আরাফাত সানি ৪/৪৫
প্রাইম দোলেশ্বরঃ- ইমতিয়াজ হোসাইন ৯৯(১৪৩), আবদুল মাজিদ ৪৫(৪০)
নুর আলম ৩/৫৫
ম্যান অব দি ম্যাচ- ইমতিয়াজ হোসাইন