

শেষ যতগুলো টেস্ট বাংলাদেশ জয় পেয়েছে তার প্রায় প্রত্যেকটাতেই কোন না কোন ভাবেই জড়িয়েছিল একটি নাম। নামটা সাকিব আল হাসান। অতিমানবীয় নৈপুণ্য দেখিয়ে যিনি এনে দেন জয়। কিন্তু, রুঢ় সত্যটা হলো রক্ত-মাংসের মানুষ সাকিবও। ব্যর্থতা ছুঁয়ে যায় তাঁকেও। আর এ জায়গাটাতেই সমর্থকদের প্রত্যাশার রথটা মাটিতেই রাখতে আহবান করেছেন দলনায়ক মুশফিক।

গেলো ঢাকা টেস্টেও ব্যাট আর বলে অনেকটা একাই অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়েছেন সাকিব। ম্যাচে দশ উইকেট আর ৮০ রান নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরাও। অবশ্য চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট আর বলটা ঠিক কথা বলেনি বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডারের হয়ে।
মুশফিক মেনে নিচ্ছেন এই কঠিন বাস্তবতা। খারাপ দিন আসতে পারে সাকিবেরও। তবে দায়িত্বটা তখন বর্তাবে অন্যদের ঘাড়ে। জহুর আহমেদ চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সিরিজ ভাগাভাগির পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুশফিক মনে করিয়ে দিয়েছেন অন্যদের কর্তব্যের কথা।
“ও তো একটা মানুষ। প্রতি ম্যাচে তো আর তামিম, সাকিব বা আমাদের বড় ক্রিকেটাররা খেলে দিতে পারবে না। ওদের দলেও কিন্তু দুই-তিন জন বড় ক্রিকেটার আছে। ওরা যদি খারাপ করে তাহলে কি অস্ট্রেলিয়া হেরে যাবে? নতুন যারা আছে, তারাসহ সবাই চেষ্টা করে অবদান রাখার।”

সাকিব আর তামিমের এমন ব্যর্থতায় সুযোগ ছিল অন্যদের জন্য। সুযোগ ছিল নিজেদের পাদপ্রদীপের আলোতে নিয়ে আসার। তবে, মুশফিক নিজে আর সাব্বির রহমান এবং মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাকি কেউই ঠিক নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালনে হয়েছেন ব্যর্থ। মুশফিকের তাগিদটা সেখানেই।
“সাকিব হয়তো একটু দুর্ভাগা ছিল, যেভাবে আউট হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। ও যদি ভালো করে তাহলে ওর জন্যও ভালো, দলের জন্যও ভালো। অবশ্যই এটা মিস করি। তবে ও পারফর্ম না করলে কিন্তু অন্যদের সামনে সুযোগ থাকে। যেটা অন্যদের সামনে ছিল, ওরা হাতছাড়া করেছে।”