

ফিরে গেছেন ইমরুল। মুমিনুল হকের নামার অপেক্ষায় সবাই। কিন্তু না, ব্যাট হাতে আসলেন নাসির হোসেন! নাসিরের বিদায়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই নামলেন সাকিব। এরপর মুশফিকুর রহিম আর সাতে সাব্বির! মুমিনুলের জন্য কয়েক হাজার চোখ উৎসুক। অবশেষে আটে দেখা মিলল বাংলাদেশের ‘ব্র্যাডম্যানের’। আর সংবাদ সম্মেলনে সেই ব্যাখ্যাটাই দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক।
একটা কারণ থাকতে পারে, আগের দিন ফিল্ডিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। সে কারণেই নিচে নেমে যেতে হতে পারে। তবে কাপ্তান জানিয়েছেন, চোট নয়। অনেক হিসাব কষে পরিকল্পনা করেই মুমিনুলকে পাঠানো হয়েছে আটে।
“আসলে চিন্তা ছিল ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন করার। এখন আটে নেমে মুমিনুল ভালো খেলেছে বলে হয়তো বলতে পারেন আরেকটু আগে কেন নামানো হয়নি। তবে আমরা তো ফল দেখে চিন্তা করি না। দলের যেটায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেটা করার চেষ্টা করি আমরা।”
দলের সবচেয়ে বেশি গড়ের মালিককে আটে নামানোর সিদ্ধান্তটা ছিল কঠিন। মুশফিকের মতে কৌশল খাটাতেই নেয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
“আটে খেলা, সত্যি বলতে, আমাকেও যদি খেলতে বলেন, খুবই কঠিন। কোনো ব্যাটসম্যানেরই আটে খেলা যথার্থ নয়। তবে যেটা বললাম, সিদ্ধান্তটি ছিল ট্যাকটিকাল।”
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুশফিক বলেছেন চার নম্বর জায়গাটায় সবার নড়বড়ে অবস্থানের কথা, “চার নম্বরে গত কয়েক টেস্টে স্পেশালিস্ট সেভাবে নেই আমাদের। সাব্বির খেলেছে। ওর কাছ থেকে যতটা পাওয়ার, আমরা পাচ্ছিলাম না। সাব্বির যেহেতু সাত নম্বরে খেলে ভালো রান করেছে, আমরা চেয়েছি ওকে ওই জায়গায় রাখতে। আর সাকিব সবসময় পাঁচে খেলে।”

বললেন বটে, কিন্তু যেই মুমিনুলকে নিয়ে এত কাটছাঁট, সেই মুমিনুল কিন্তু চার নম্বরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ দারুণ ইনিংসগুলোর প্রায় সবগুলোই খেলেছেন এই জায়গায় ব্যাট করতে নেমেই, গড়টা ষাটের ঘরে! সেই প্রশ্নটা করতেই ব্যাকফুটে চলে গেলেন টাইগার দলপতি, “এই প্রশ্ন করতেই পারেন, মুমিনুলই নিচে কেন? কিন্তু একজন ব্যাটসম্যানকে তো যেতেই হবে নিচে।”
তবে এই আটে নামানো মুমিনুলের ২৯ রানের আশা দেখছেন মুশফিক। বলেছেন মুমিনুলকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। “ও অফ স্পিন খেলতে পারে না বলে কথা ছিল। কিন্তু সে দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারকে খেলে। যতক্ষণ ছিল, ভালো খেলেছে। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব এগুলো মাথায় রাখতে এবং সেভাবেই পরিকল্পনা গড়তে।”