

ওয়ার্নার আর হ্যান্ডসকম্বের জুটিতে শক্ত অবস্থানে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ ৩০৫। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে নাসির হোসেনের মতে, একশো থেকে দেড়শো রান কম করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে প্রয়োজন ছিল চারশো ছাড়ানো সংগ্রহ।
বাংলাদেশের চেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে ৮০ রানে। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৮ আর পিটার হ্যান্ডসকম্বের হার না মানা ৬৯ রানে অজিদের লিডের অঙ্কটা যে বাড়তে যাচ্ছে সেটা অনুমেয়ই। দুই বছর পর টেস্ট দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে নাসিরও জানিয়েছেন নিজেদের পিছিয়ে যাওয়ার জায়গাটা নিয়ে।
উইকেটটা মোটেও ছিলনা কঠিন। স্টাম্পের বলগুলো খুব বেশি টার্ন করেনি। বরং বাইরের বলে বোলাররা টার্ন পেয়েছেন। ইচ্ছা করলেই উইকেটে কাটিয়ে আসা যেতো অনেকক্ষণ। এমন উইকেটে বড় ইনিংস না খেলতে পেরে হতাশাই প্রকাশ করেছেন নাসির হোসেন।
“আমি চাইছিলাম শেষ পর্যন্ত খেলতে। সবচেয়ে বড় কথা হল, মিরাজের সঙ্গে দারুণ জুটি হচ্ছিল। যতটা বেশি রান করতে চেয়েছিলাম। দলের তা খুব কাজে লাগতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়নি।”
দ্বিতীয় দিনের পুরোটা অতিথিদের দিয়ে দিলেও বেশ শক্তভাবেই তৃতীয় দিনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নাসির। একটা ভাল সেশনই বদলে দিতে পারে ম্যাচ, নাসির ভাবনা এমনই।
“আমরা এখনো ৮০ রানে এগিয়ে আছি। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, এখানে আপনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারবেন না। টেস্টে এক-দেড় ঘণ্টায় অনেক কিছু বদলে যায়।”
পুরো দিনের খেলার বোলাররা নিয়েছেন মাত্র দুই উইকেট। মুশফিকের স্টাম্পিং আর মমিনুলের ক্যাচ মিস বাদ দিলে অতিথিরা দারুণ ব্যাটিং করে পার করেছেন দিন। তাই বোলাররা খারাপ বোলিং করেনি বরং নাসির কৃতিত্ব দিচ্ছেন অজি ব্যাটসম্যানদের।
“বোলাররা খারাপ করেনি। আপনারা যদি দেখেন, ওয়ার্নার এতো ধীরে ব্যাটিং করে না। কিন্তু আজ করেছে, মানে আমরা বোলিং ভালো করেছি। শুধু উইকেট পড়েনি।”
ম্যাচের বাকি এখনও তিন দিন। তাই ধৈর্যটা ধরে সতীর্থদের উদ্দেশ্যে নাসির বার্তা দিলেন নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যাওয়ার, “যে কোনো মুহূর্তে খেলা বদলে যেতে পারে। কালই ফল হবে না, খেলা পাঁচদিনে যাবে। আমরা অবশ্যই ফল নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের হাতে যা আছে, আমরা তা নিয়ে চিন্তা করছি।”