

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেরই সেরা অলরাউন্ডারের নামটা সাকিব আল হাসান। সময়ের আবর্তনে মুশফিকুর রহিম নানা ভূমিকায় ছিলেন তার সাথেই। কখনও সাকিবের অধীনে খেলেছেন নিজে, আবার সাকিবকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমান বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক মেতেছিলেন সাকিব বন্দনায়।
চট্টগ্রামে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেখানেই সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন এই উইকেটরক্ষক। জানিয়েছেন সাকিবকে নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা।
‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সাকিব অবিশ্বাস্য কিছু। শেষ ১০-১২ বছর ধরে যেভাবে বাংলাদেশের হয়ে খেলছে সে তা নিঃসন্দেহে দারুণ। শুধু বাংলাদেশই নয়। সাকিব বিশ্ব ক্রিকেটেরও সেরা একজন ক্রিকেটার।’
ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর নেপথ্যে মূল ভুমিকাটা পালন করেছিলেন সাকিবই। প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান আর পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫ রান করলেও বগলদাবা করেছেন পাঁচ উইকেট। মোট ১০ উইকেট আর ৮৯ রান নিয়ে অজি দূর্গের অনেকটা একাই ভেঙ্গেছেন সাকিব। এমন একজন দারুণ খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পেরে গর্বিত মুশফিক।
‘মানসিকভাবে সাকিব অনেক শক্তিশালী। নিজের খেলাটা বোঝে সে। আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী খেলোয়াড় সে। এমন খেলা সে খেলতে পারলে আমরা পারবোনা কেন? তরুণ ক্রিকেটাররা শিখছে তার কাছে। তার সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত।’
সাকিবের এমন পারফর্ম্যান্সের আয়ু যেন বাড়ে অনেকদিন, কাপ্তান মুশফিক আশা করেন তেমনটাই। ‘পাঁচ-ছয়টা সাকিব তো কোন দলেই থাকেনা। একজন থাকে, আবার থাকেই না। তার মত একজন ক্রিকেটার আছে আমাদের দলে। চাইবো যেভাবে নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই যেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে সে।’
সাকিব-স্তুতির দিনে মুশফিক ভোলেননি তামিম ইকবালের কথা। দলের জন্য সাকিবের মতই গুরুত্বপূর্ণ তিনিও এমনটাই বলেছেন মুশফিক।
‘দলে তামিম-সাকিবের ভুমিকাটাই অন্যরকম। তামিম একটা দারুণ শুরু এনে দেয় যার ফলে আমরা ভাল কিছু করার ভিত পাই। সাকিব অসাধারণ করছে। তামিম আর সাকিব দুজনেই যেভাবে খেলছে তাতে আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের তারা দুজন ভীষণ ধারাবাহিক।’
সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল তো আছেনই, সাথে মুশফিকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বহুদুর। আপাতত বহুদুরটা দুরেই থাকুক। সাকিব আর তামিমের সাথে মুশফিকসহ বাকীদের অবদানে অতিথিদের বিপক্ষে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জয় পাক দ্বিতীয় টেস্টে। সিরিজ পুরে নিক পকেটে।