

মিরপুরে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট। আর বিপরীতে স্মিথদের দরকার আরও ১৫৬ রান। ম্যাচ যেতে পারে যে কারো পক্ষেই। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে তামিম ইকবালের অনুপ্রেরণা গত অক্টোবরে এই মিরপুরেই ইংলিশদের বধ করা সেই টেস্টটি।
অস্ট্রেলিয়াকে টাইগাররা লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ২৬৫ রান। ইংল্যান্ডকে গেল বছর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পুঁজি ছিল ২৭২ রান। এ ম্যাচে ফেরানো গেছে অজিদের দুই ব্যাটসম্যানকে। অথচ সে ম্যাচে ইংলিশরা স্কোরকার্ডে ১০০ রান তুলেছিল বিনা উইকেটে।
চা-বিরতির পর মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের ঘুর্ণিতে মাত্র ৬৪ রান আর এক সেশনেই গুটিয়ে দেয়া গিয়েছিল অতিথিদের। অনেকটা একই রকম পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টেও।
ম্যাচ জিততে ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ২ উইকেট হারিয়ে অজিরা তৃতীয় দিনশেষে সংগ্রহ করেছে ১০৯ রান। যদিও ২৮ রানেই ফেরানো গিয়েছিলো ম্যাট রেনশো আর উসমান খাজাকে। তারপরই উইকেটে জমে গিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ক্যাঙ্গারু দলপতি স্টিভেন স্মিথ। দুজন মিলে তুলেছেন ৮১ রান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেই টেস্ট জয়ই তামিমের অনুপ্রেরণা হলেও টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক ঠিকই জানেন করে কাজটা দেখাতে হবে মাঠে। ‘পরিস্থিতিটা ইংল্যান্ড ম্যাচের মতই। হয়তো ১৫০ রান খুব বেশি মনে হচ্ছেনা। তবে উইকেটে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের একজন যদি ফিরে যায় তবে ঘটতে পারে অনেক কিছু।’
শুধু ইতিহাস ঘেঁটেই নয়, তামিম বলেছেন খেলে জিততে হবে দলকে। ‘এমন অনেক ম্যাচ দেখেছি। খেলেছি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। তবে ইতিহাসে চোখ রাখলেই তো হবেনা। জয়টা আনতে হবে আমাদেরই। সেরা দুই ব্যাটসম্যান উইকেটে আছে। ওদের যত দ্রুত ফেরাতে পারবো তত আমাদের সুযোগ বেড়ে যাবে।’