

৮৮ রানে লিড নিয়ে ৯ উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতেই নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল সাথে ইমরুলের উইকেট হারায় টাইগাররা। পরে তামিম-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ করে ১৭৬ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে যায়। সেখান থেকে ২০৫/৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
লাঞ্চের পর কামিন্সের করা দলের তৃতীয় ওভারের ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে লঞ্চের আগে করা ৭৬ রানের সাথে ২ রান যোগ করে ৭৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিম আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সাথে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৬৮ রানের জুটি। তামিমের বিদায়ের পরে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তিনিও দাঁড়াতে পারেনি বেশিক্ষণ, লায়নের বলে উঠিয়ে মারতে যেয়ে ৫ রান করে কামিন্সের হাতে ধরা পরেন সাকিব।
এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে ভালোই সামাল দিতে থাকেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। দলীয় ১৮৬ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন ৪১ রান করা মুশফিক। মুশফিকের আউটের পর দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নাসির আসলেও দাঁড়াতে পারেননি তিনি। ভক্ত সমর্থকদের হতাশ করে অ্যাগারের বলে কোন রান না করেই আউট হন নাসির, নাসিরের আউটের সাথে সাথেই একই পথ ধরেন সাব্বির রহমানও। দলীয় ১৮৬ রানের মাথায় টাইগাররা হারায় ৩ উইকেট!
ক্রিজে আসেন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মিরাজ আর শফিউল, এসেই অজি বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন মিরাজ। এক ওভারে অ্যাগারকে মারেন তিনটা ৪, আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৭* রানে অপরাজিত থেকে টি-ব্রেকে যান মিরাজ। মিরাজের সাথে শফিউল ২* রান নিয়ে দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।