

তামিম ইকবাল খান, টাইগার ক্রিকেটের টপ অর্ডারের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ওপেনিং পজিশনে এখনো তামিমের রিপ্লেস’তো পরের কথা, তামিমের অভিষেকের পর থেকে এখনো খুঁজতে হচ্ছে ইনিংস শুরু করার জন্য তামিমের যোগ্য সঙ্গী।

ক্যারিয়ারের শুরু দিকে আগ্রাসী ব্যাট করতেই ভালবাসতেন। খেলতেন নিজের মত করে। সময়ের পরিক্রমায় বদলিয়েছেন নিজেকে। বয়সের সাথে পরিণত হয়েছেন বেশ। এখন ব্যাট চালান পরিস্থিতি অনুযায়ী। নিজেকে মানিয়েছেন সবধরনের ক্রিকেটের সাথে। হয়ে উঠেছেন দেশ সেরা ওপেনার। অন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছরের ক্যারিইয়ারে বাংলাদেশের হয়ে এখনো দশ হাজারের উপরে (১০৭৬৯) রানের একমাত্র মালিক তিনি। সর্বোচ্চ শতক (১৮) ও অর্ধশতকও (৬৬) তার দখলে।
মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট দিয়ে খেলছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০ তম ম্যাচ। মিরপুরের স্পিন সহায়ক এই স্লো উইকেটে যেখানে ব্যাটসম্যানদের পিসে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জিং সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন তামিম ইকবাল। অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন, অ্যাগার, ম্যাক্সওয়েলদের সামলিয়েছেন একদম আপন ঢঙ্গে। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস, দ্বিতীয় ইনিংসেও সতীর্থ্যরা যেখানে উইকেটে থাকতে হাসফাস করছে সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে তামিম করেছেন ৭৮ রান। কামিন্সের হঠাৎ করে উঠে যাওয়া বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
এই নিয়ে একই টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটি করে সাবেক টাইগার ক্যাপ্টেন হাবিবুল বাশারকে ছুঁলেন বামহাতি এই ড্যাশিং ওপেনার। বাশারের সমান ৬ বার এই কীর্তি গড়লেন তামিম। একই টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটি আছে সাকিবের ৩টি, মুশফিক ও নাসির হোসের ২টি করে।