

‘সেরাটা শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম’- বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এভাবেই নিজেদের দাপুটে পারফর্ম্যান্সের রহস্য জানালেন। ভারতের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। আমদাবাদের ফাইনালে সেই ভারতকে হারিয়েই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়েন প্যাট কামিন্সরা। সেরা খেলাটা ফাইনালের জন্য তুলে রেখেছিলেন, ভারতকে হারিয়ে এভাবেই নিজেদের শিরোপা জয়ের রোমাঞ্চকর পথের ব্যাখ্যা করলেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া লক্ষাধিক দর্শককে হতাশ করে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আসরজুড়ে অপ্রতিরোধ্য থাকলেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাপট দেখাতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। ৪২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। অথচ এই ভারতের বিপক্ষে হেরেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশেইন জুটি ভারতের সব স্বপ্ন ভেঙে দিল। ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্স রুমে এসে হাসতে-হাসতেই চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বললেন,
‘আমি মনে করি আমরা আমাদের সেরাটা ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম। পুরো আসরেই বেশিরভাগ সময় আমরা আগে ব্যাট করেছি। ভেবেছিলাম পরে ব্যাট করা খেলার জন্য আজকের রাতটি বেশ ভালো। তারা (সতীর্থরা) দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা বুড়ো দলে পরিণত হচ্ছি প্রতিনিয়ত, কিন্তু তারপরও সবাই মাঠে নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম এখানে ৩০০ রান তাড়া করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ২৪০ রানে আটকাতে পেরে ভালোই লাগছিল।’
ভারতের কাছে ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম হারের পর যেভাবে দলকে চাঙ্গা করেন প্যাট কামিন্স, ‘বলেছিলাম আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং বিশ্বকাপ জিততে হবে। আর সেটার জন্য অপেক্ষা করার সময় নাই। আমাদের সাহসী হতে হবে, এখান থেকেই সেটা শুরু করতে হবে।’
নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কামিন্স রীতিমতো প্রশংসা বন্যায় ভাসিয়ে দিলেন ট্রাভিস হেডকে।
‘মার্নাস ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে নামে। ট্রাভিস হেড সেটাই করে, যেটার জন্য ও পরিচিত। হেডের এটা অত্যন্ত সাহসী ইনিংস। ও লড়াই জারি রাখে। বোলারদের উপরে চাপ তৈরি করে। সব থেকে বড় মঞ্চে এমন পারফর্ম্যান্স ওর মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেয়। হাত ভাঙার পরেও নির্বাচকরা ওর উপরে আস্থা রাখে। মেডিক্যাল টিম ওকে নিয়ে পরিশ্রম করে। আমাদের সব থেকে বড় ঝুঁকি ছিল এটাই (চোট পাওয়া সত্ত্বেও হেডকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ধরে রাখা)। শেষমেশ সেই ঝুঁকি কাজে লাগে। ট্রাভিস জন্য খুব খুশি। ও লেজেন্ড। আমরা সবাই ওকে ভালোবাসি।’