

ভারতে পিচ নিয়ে নানা আলোচনা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যে পিচ ব্যবহার করার কথা ছিল, তা ব্যবহার হয়নি, বরং একটি ‘ব্যবহৃত’ পিচ ব্যবহার করা হয়েছে– এমন জটিলতা রয়েছে। আগামীকাল বিশ্বকাপ ফাইনাল। ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পিচের হালচাল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন গেল নানাভাবে। কোন দল ‘ফেভারিট’, সেই প্রশ্নে অবশ্য সরাসরি নির্দিষ্ট করেননি প্যাট কামিন্স।
ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন কামিন্স। শুরুর প্রশ্নটাই হয়েছে পিচ নিয়ে। অজি অধিনায়ক পিচ দেখেছেন কিছুটা, তবে নিজেকে খুব ভালো ‘পিচ রিডার’ মনে করেন না তিনি। যতটুকু দেখেছেন যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে তাঁর কাছে।
“আমি খুব ভালো ‘পিচ রিডার’ নই। কিন্তু এটা বেশ দৃঢ় লাগছিল। তারা কেবল এটিকে পানি দিয়েছে, তাই হ্যাঁ, এটিকে আরও ২৪ ঘন্টা সময় দিয়ে দেখতে হবে। তবে এটা দেখতে বেশ ভালো উইকেটের মতো দেখাচ্ছে।”
নতুন পিচ ও ব্যবহৃত পিচ নিয়ে কিছু জটিলতা ও আলোচনা তৈরি হয়েছিল প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে। কামিন্স’কে আজ সে প্রশ্নের উত্তরও দিতে হয়েছে, ফাইনালের পিচ পূর্বে ব্যবহার হয়েছিল কি না।
কামিন্স জানান, “হ্যাঁ, পাকিস্তান কারও সাথে খেলেছে এখানে।”
পাকিস্তান বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ খেলেছে আহমেদাবাদে। সেটি ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ৪২.৫ ওভার খেলে অলআউট হয়ে যায় ১৯১ রানে। ভারত ৩০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয়। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে এসেছিল ৮৬ রান।
কোন দল জনপ্রিয় বা ফেভারিট, সেই প্রশ্নে অবশ্য সরাসরি কোনো দল নির্দিষ্ট করেননি কামিন্স। তিনি বরং মনে করছেন, দুই দলের ক্ষেত্রে সমান হতে যাচ্ছে এই ম্যাচ। নিজেদের ইতিবাচক দিকের কথা বলতে গিয়ে অজি অধিনায়ক বলেন, ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের কিছু খেলোয়াড় রয়েছে এই দলে।
“এটা আসলে জানি না। আমি মনে করি এটা একটা সমান ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আপনি উভয় দলের ক্ষেত্রেই বলতে পারেন। ভালো ব্যাপার হলো, আমাদের এই দলে ২০১৫ বিশ্বকাপ জেতা ৬-৭ জন রয়েছে, যারা জানে এই অনুভূতি। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে ছেলেরা ছিল, আলাদা সংস্করণ, তবে প্রায় সবাই ১৫ জনের মধ্যে প্রায় এক ডজন, যারা বিশ্বকাপ জিতেছে। তাঁরা জানে এরজন্য কী করতে হয়। এবং তাঁরা ভয় পায় না, সাহসী থাকে আর খেলাটা চালিয়ে নেয়।”