

সেমি-ফাইনাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়। ডি ককেরও ওয়ানডেতে থেকে বিদায়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ শেষে ওয়ানডে জার্সি তুলে রাখবেন। কুইন্টন ডি ককের এক দশকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল কোলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে পরাজয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৫৫ ওয়ানডে খেলেছেন ডি কক। ২১ সেঞ্চুরি ও ৩০ হাফ সেঞ্চুরিতে তাঁর মোট রান ৬৭৭০। গড়টাও ভালোই—৪৫.৭৪। একটি গৌরবময় ওডিআই ক্যারিয়ারের সমাপ্তি।
শেষ বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিয়েছেন, ১০ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ৫৯.৪০ গড়ে ৫৯৪ রান। দলকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও মনে রাখার মতো এক বিশ্বকাপ আসরে খেলেছেন কক। যা তাকিয়ে জায়গা করে দিয়েছে আরও উচ্চতায়। ভিরাট কোহলির পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ করেছেন আসর।
গত সেপ্টেম্বরে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঘোষণার পরই ডি ককের অবসরের খবর নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঠিক এমনই হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন কুইন্টন। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান বলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ডি’কক।
এবার অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে গুরত্ব দিতে। ডিসেম্বরে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগ খেলতে দেখা যাবে ডি কককে। এ সময়েই ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ডি ককই একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটার যিনি এই বিশ্বকাপে ৫৯৪ রান করেছেন এবং গ্লাভস হাতে ২০ ডিসমিসাল। ২০১৩ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক, এক দশক পর ইতি টানলেন ক্যারিয়ারের। আগামী দিনে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলবেন ডি কক।