

দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সাধারণত যে সিদ্ধান্ত তাঁদের স্বস্তি দিয়েছে বিশ্বকাপ-জুড়ে। কিন্তু আজ সেমিফাইনালের দিন সেই স্বস্তিটুকু পায়নি তাঁরা। কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাট হাতে বেশ ব্যর্থই বলতে হয় প্রোটিয়াদের। যতটুকু আনন্দ, তা মিলারের শতকেই মিলেছিল। স্টার্ক-হ্যাজেলউড’দের বোলিং তোপে শুরুতে উইকেট হারানো দলটি ৪৯.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে।
ইনজুরিকে সাথে করে নামা টেম্বা বাভুমা চার বলের বেশি ক্রিজে থাকেননি। ফিরেছেন শুন্য হাতে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কক, তিনিও আজ নিভু নিভু করে ১৪ বল খেলে ৩ রান নিয়ে বিদায় নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড এর শিকার হয়ে।
তাতে কী! ভরসা করার মতো ব্যাটার তাঁদের ছিল। এইডেন মার্করাম ও ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্তু এদিন দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দলীয় ২২ রানে মার্করাম ও ২৪ রানে ফিরেছেন ডুসেন। অর্থাৎ ২৪ রানে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেট নেই।
মিচেল স্টার্কের সাথে হ্যাজেলউড- দুইটি করে উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন।
হেনরিখ ক্লাসেনের সাথে এবার ডেভিড মিলার দায়িত্ব নিলেন। অজি পেসারদের সামলিয়ে কীভাবে টিকে থাকা যায়, সেটাই যেন বড় হয়ে উঠল কোলকাতায়। ধীরে ধীরে বিপর্যয় কাটিয়ে দুই ব্যাটার দলের রান এগিয়ে নিতে থাকলেন।
এদিকে ওভারের সাথে রানের তাল মিলানোতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। মাঝখানে বৃষ্টিও একবার বাগড়া দিয়ে গেল। ২৮ ওভারের মাথায় দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে দলীয় শতক। মিলান-ক্লাসেন এর ৯৫ রানের জুটি ভাঙে ট্রাভিস হেড এর ডেলিভারিতে ক্লাসেন বোল্ড হয়ে ফিরলে।
ফিফটিও করা হয়নি তাঁর, ৪৭ রানেই ফিরেছেন। ওদিকে হেড অপেক্ষা করছেন পরের ডেলিভারির জন্য আরেকটি উইকেট তুলতে। মার্কো জানসেন একেবারে পরের বলেই লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফিরলে, আফ্রিকা আবারও সংকটে পড়ে।
ফিফটি করে ওদিকে একা হাতে যতটুকু পারা যায়, করে যাচ্ছিলেন মিলার। জেরাল্ড কোয়েটজিকে সাথে নিয়ে জুটি গড়ে তুলতে থাকেন। প্রোটিয়াদের রানের গতিতে তেমন উন্নতি হয়নি। শ্লথ গতিতে দুই ব্যাটার মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়েছেন, যা প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিতে কোয়েটজির ফেরায় ভেঙে যায়।
দলের রান তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২। দলের দুইশোর সাথে, মাঠে পড়ে থাকা লড়াকু সৈনিক মিলার তখন শতক হাঁকিয়েছেন। শতক হাঁকিয়েই কামিন্সের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১১৬ বলে ১০১ রান করে।
সর্বশেষ দুই ব্যাটার তখন ক্রিজে, ওভারও ছিল হাতে গোনা দুইটি। কাগিসো রাবাদার ব্যাটে একটি ছয় ছাড়া আর কোনো বাউন্ডারি আসেনি। শেষ ওভারের দুই বল বাকি থাকতে কামিন্সের ডেলিভারিতে রাবাদা ক্যাচ দিয়ে ফিরলে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ইনিংস।