

সাউথ আফ্রিকা দলের সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স মনে করছেন, এবছরের বিশ্বকাপ তাঁর নিজ দেশের হয়ে জ্বলজ্বল করছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতায় আজ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সাউথ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে একরকম উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
সাউথ আফ্রিকা টুর্নামেন্ট শুরু করেছে দারুণভাবে। শেষদিকে এসে কিছুটা ম্রিয়মাণ ছিল বটে। তবু ৯ ম্যাচে ৭ জয় যাদের পকেটে, তাদের সমীহ না করে উপায় কী!
ডি ভিলিয়ার্স আইসিসি’তে একটি কলাম লিখেছেন। যেখানে তিনি প্রোটিয়াদের জন্য প্রশংসাসূচক আলোচনা তুলেছেন।
তিনি বোলিং নিয়ে লিখেছেন, “বোলিং অ্যাটাক দারুণভাবে উইকেটের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কো জানসেন ও লুঙ্গি এনগিডি নতুন বলে উইকেট নিতে পারছে, এরপর কাগিসো রাবাদা ও জেরাল্ড কোয়েটজি এসে ধসিয়ে দিচ্ছে। এবং সেটা কেশভ মহারাজের স্পিনের আগেই। যদি এই ৫ জন শেষপর্যন্ত খেলে, তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার জন্য আসলেই হুমকি হবে।”
ডি ভিলিয়ার্স অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এর ব্যাপারে ভালোই সতর্ক বলে মনে হয়েছে। ভিলিয়ার্সের মতো মারকুটে একজন যে ম্যাক্সওয়েল কী করতে পারেন, সে ব্যাপারে সম্যক ধারণা রাখবেন, এ তো স্বাভাবিক।
“অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই শক্তিশালী এবং প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর তাঁরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা ছিল বেশ ভালো। এটা আমরা মনে করতে চাই না, কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে খেলাটা দিয়েছে, সেটা সত্যি হাস্যকর ধরনের ছিল। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাউথ আফ্রিকা তাঁকে তাঁর দক্ষতা পেতে দিতে চাইবে না।”
শেষদিকে নিজেদের ক্ষতগুলির কথা স্মরণ করেন ডি ভিলিয়ার্স। সেমিফাইনাল থেকে কখনো ফাইনালে না উঠতে পারার যে অনুভূতি তা নিয়ে আসেন তাঁর লেখায়।
“তবুও, সমস্ত ব্যথা এবং হৃদয়বিদারকতার পরে, আমি সত্যিই অনুভব করি যে, এখন আমাদের সময়। এটি এমন এক দল, যারা ইতিহাসের ওজন বহন করছে না। চাপ থাকবেই, কারণ এটা সেমিফাইনাল। কিন্তু নতুন কিছু করে, প্রথমবারের মতো দলকে বড় মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি সত্যি আশা করছি, তাঁরা পারবে।”