

ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন ৪০০ রান দেখাটাও আস্তে আস্তে চোখ সয়ে নিচ্ছে। অথচ খুব বেশিদিন নয় যে, ৩০০ রান অনেক বড় স্কোর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বাংলাদেশের রান এখনো তিনশো ছাড়িয়ে যাওয়া দেখতে বড় এক অপেক্ষা করতে হয়। এদেশের ব্যাটারদের অল্পতে তুষ্ট হয়ে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বলে মনে করছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সাথে কাজ করে যাওয়া টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম।
দর্শকরাও বিভিন্ন সময় এই মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে আলাপ তুলেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটাররা একটা হাফ সেঞ্চুরি করে নিলেই ভাবছেন, কিছু একটা হয়ে গেল! দর্শকদের এই খণ্ডিত ভাবনাগুলি এবার শোনা গেল শ্রীরামের মুখে।
শ্রীরাম এর আগেও বাংলাদেশ দলের সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় কাজ করেছেন। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভারতীয় এই কোচ’কে দলের সাথে যুক্ত করেছিল বিসিবি।
সম্প্রতি ক্রিকেট-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’তে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন শ্রীরাম।
খেলোয়াড়দের শতক না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেন তিনি, “আমাদের অর্থপূর্ণ শতক পাওয়ার অক্ষমতাটাই আসলে দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীর্ষ চার ব্যাটারের মধ্যে কেউ একটিও শতক না পাওয়াটা দলের সবচেয়ে হতাশাজনক অংশ। যারা (সেমিফাইনালে) কোয়ালিফাই করেছে তাদের দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা কিনা ডাবল সেঞ্চুরি করছে। আমার মনে হয় আপনি ভারতে তখনই ম্যাচ জিতবেন যখন আপনার দলের কেউ ১৩০-১৪০ রান করতে পারবে।”
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে তানজিদ তামিম ফিফটি পেয়েছিলেন। শ্রীরাম মনে করেন, সেদিন তানজিদের পক্ষে সবই ছিল। সে চাইলেই নিজের ফিফটি সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারত। এখানে মানসিকতার পরিবর্তন দেখতে চান এই ভারতীয় কোচ।
তিনি যোগ করেন,
“আমার আসল চিন্তার জায়গা হচ্ছে এসব ক্রিকেটাররা ফিফটি পেয়েই সন্তুষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে আপনার সীমানাকে বড় করতে হবে এবং বড় রান পেতে হবে। বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেট সেদিকে এগোচ্ছে। যত তরুণ ক্রিকেটাররা আসছে, তারা ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে সক্ষম। এখানের সূত্র ধরে এগিয়ে যেতে হবে এবং ক্রিকেটারদের বড় রান করার জন্য ক্ষুধার্ত হতে হবে।”