

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহের থেকে ৪৩ রান আগেই থেমেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। গুটিয়ে যেতে হয়েছে ২১৭ রানে। মিরপুরের এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটা হতে পারে যুদ্ধের মত। এত কিছু পরেও চার বছর পর অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে টেস্ট খেলতে নামা অ্যাস্টন অ্যাগারের বিশ্বাস যে কোন রান তাড়া করার ক্ষমতা রাখে টিম অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দল এগিয়ে ৮৮ রানে। পিচের যা অবস্থা তাতে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২৫০ রান তাড়া করাও হয়ে উঠতে পারে দুরূহ কাজ। তবে হাল ছাড়ছেন না অ্যাগার, দলের ব্যাটসম্যানদের প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন এই স্পিনার। আর বিশ্বাস আছে নিজের এবং বোলারদের উপরেও।
‘আমি বিশ্বাস করি আমরা যে কোনো রান তাড়া করতে পারি। কারণ আমার ধারণা, কাল সকালে ওদের আমরা দ্রুত গুটিয়ে দিতে পারব। কাজটা কঠিন হবে অবশ্যই, কারণ এই উইকেটে যে কোনো পুঁজি নিয়েই লড়াই করা যায়। কিন্তু আমার বিশ্বাস, প্রথম ইনিংস থেকে শিক্ষা নেবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা।’

বাংলাদেশকে তৃতীয় দিনের শুরুতেই অলআউট করে দেয়ার বিশ্বাসটা হয়তো অ্যাগার পাচ্ছেন সৌম্যের সেই আচমকা শটে ফিরে যাওয়া থেকেই। উইকেটটা গিয়েছে তার ঝুলিতেই, তবুও বিস্মিত অ্যাগার!
‘আমি প্রথমে অবাক হয়েছি এমন শট খেলতে দেখে, তবে পরে কারণটাও বুঝতে পেরেছি। ফিল্ডারের ওপর দিয়েই বলটাকে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু খেলার অমন পর্যায়ে যেখানে উইকেট সাহায্য করছে বোলারদের তখন এমন শট খেলাটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভুলটি আমার বিপক্ষে করায় আমি খুশি হয়েছি।’
প্রথম ইনিংসে ৯ম উইকেট জুটিতে প্যাট কামিন্সকে সাথে নিয়ে অ্যাগার গড়েছেন ৪৯ রানের জুটি। সব মিলিয়ে শেষ দুই উইকেটে অজিরা রান তুলেছে ৭৩। আর নাহলে বাংলাদেশের লিডটা হতে পারতো আরও বড়। ঠিক এ জায়গাতেই ভরসা করছেন অ্যাগার।
‘আমাদের চিন্তাটা ইতিবাচক। বেশ ভালভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। সবকিছুই খুব দ্রুত ঘুরে যেতে পারে। বল স্পিন করছে, অনেক টার্ন করছে। কিছু বল লাফিয়েছে আচমকা। তো আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যদি ছন্দ ধরে রাখতে পারি, কাল ওদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে পারব।’