

এই বিশ্বকাপে মার্শের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আছে একটি ফিফটিও। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। দল সেমিফাইনালে গিয়েছে আরও আগে। তবুও বিশ্বকাপের যেকোনো ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ।
সেঞ্চুরি করাটা অনেক বেশি সম্মানের মনে করেন মিচেল মার্শ৷ ওপেনিং পজিশন থেকে ওয়ান ডাউন; টপ অর্ডারটা ভালোই দখলে নিয়েছেন তিনি। গতকাল দ্রুত ট্রাভিস হেড এর উইকেট পতনের পর তিনে নেমে দলের হাল এমনভাবেই ধরলেন, জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আরও আগেই। শীর্ষ চার নিয়ে মার্শ নিজের রোমাঞ্চকর অনুভূতির কথা জানালেন।
“আসলে সেমি নিয়ে আমরা বেশ রোমাঞ্চিত। বিশ্বকাপের শুরুতেই সবার এমন চিন্তা থাকে। ৯টি ওয়ানডে ম্যাচ, লম্বা সময় মনে হচ্ছিল তখন। দুনিয়ার সব ক্রিকেট দল যে পরিমাণে উন্নতি করেছে, তাতে আসলে কোনো সহজ ম্যাচ ছিল না এখানে। সামনে যেই চ্যালেঞ্জ আছে তা নিয়ে আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।”
অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা তেমন তেজি মনোভাব দেখাতে পারছে না, এমন আলোচনা রয়েছে। ভারতের মাটিতে কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে দলটির? নাকি অন্যকিছু? স্টার্ক-হ্যাজেলউড-কামিন্স’দের নিয়ে সাজানো পেস-ত্রয়ী থেকেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না তুলতে পারার দায়টা কি শুধুই বোলারদের?
মার্শ বলেন,
“এখানে বেশ কিছু ফ্ল্যাট উইকেট আছে এবং ছোট কিছু মাঠও আছে। এখানে বেশ ভালো ভালো কিছু দল আছে। অনেক দলই বড় রান তাড়া করে জিতে যাচ্ছে। এখানে মানসিকতা রাখতে হবে, উইকেট নিয়েই যেতে হবে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে।”