

সাউথ আফ্রিকা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় লাভ করল। আজ, আহমেদাবাদে আফগানিস্তানের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আরো আগে, টেবিলের দুই নম্বর দল এখন টেম্বা বাভুমা’র সাউথ আফ্রিকা।
এই বিশ্বকাপে লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা নাম করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রান তোলে দলটি। তবে পাওয়ারপ্লে শেষ হলেই পর পর দুই উইকেট হারায়। ৬৪ রানে টেম্বা বাভুমার ফেরার দুই ওভারের মধ্যেই কুইন্টন ডি কক ফিরেছেন ৪১ রানে।
তিনে নামা ভ্যান ডার ডুসেন নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন আরো একবার। এইডেন মার্করাম ইনিংস বড় করার আশা জাগিয়ে ২৫ রানে ফিরেছেন ডুসেনকে একা রেখে। হেনরিখ ক্লাসেন ১০ এর বেশি যোগ করতে পারেননি। প্রোটিয়াদের দলীয় রান তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৯।
ডুসেন ও ডেভিড মিলার মিলেই ম্যাচ শেষ করবেন এমনটি ভাবার সময় এসেছিল, তবে না। এরমধ্যে ফিফটি পেরিয়ে গেছেন ডুসেন। তবে না, কারণ মিলারের ৩৩ বল খেলা ইনিংসটি ২৪ এ এসে মোহাম্মদ নবী’র শিকার হলো।
একাদশে সুযোগ পাওয়া আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো এবার ডুসেনের যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠলেন। দুজনে মিলে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে তোলেন। ৪৮তম ওভারে নাভিন উল হকের ৩ বলে ৬, ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে দেন ফেলুকওয়ায়ো। সাউথ আফ্রিকা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
ডুসেন অপরাজিত ছিলেন ৭৬ (৯৫) রানে। অন্যদিকে ফেলুকওয়ায়ো অপরাজিত ছিলেন ৩৯ (৩৭) রানে।
এর আগে আফগানিস্তান, পুরো একাদশ মিলে ২৪৪ রানের সংগ্রহ তোলে। দলটির টপ-অর্ডার বেশিরভাগ ম্যাচেই আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স করলেও, আজ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
তবুও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ভালো শুরু করলেন। দলীয় ৪১ রানে গুরবাজের ফেরা। এর পরের ওভারেই জাদরান ফিরলেন। মহারাজ ও কোয়েটজি’র শিকার হয়েছেন দু’জন।
রহমত শাহ’র আশা জাগিয়ে ২৬ রানে ফেরত যান। হাসেনি হাশমতউল্লাহ শহীদির ব্যাট। পার্থক্য গড়ে দিলেন অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দলীয় ৪৫ রানে শহীদি’র উইকেট পড়ার পর মাঠে নেমেছিলেন, এরপর পুরো ৫০ ওভার খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
মাঝে রাশিদ খান ও নুর আহমেদ এর সাথে জুটি গড়ে তুললেন ওমরজাই। আফগানদের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কেটে যায়। নুর’কে সাথে নিয়ে দুইশো পাড়ি দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। নিজের শতক করেই ফেলবেন, এমন এক পরিস্থিতি তৈরি ছিল।
ব্যক্তিগত ২৬ রানে নুর ফিরলে, ইনিংস প্রায় শেষের দিকেই চলে আসে। মুজিব উর রহমান ৮ রান যোগ করে ফেরেন। শেষ ওভারে ওমরজাইয়ের সঙ্গী নাভিন উল হক। ইনিংসের শেষ বলে রান নিতে গিয়ে ফিরতে হয়েছে নাভিন’কে। আফগানরা অলআউট হয় ২৪৪ রানে।
ওমরজাই অপরাজিত রইলেন ১০৭ বলে ৯৭ রানে। খেলেছেন ৭ টি চার ও ৩ টি ছক্কা।