

পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য দারুণভাবে মোকাবিলা করে ২-১ এ ওডিআই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশের পক্ষে রেকর্ড ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন ফারজানা ও মুর্শিদা। এই জুটির উপর ভর করে সহজেই ২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলার বাঘিনীরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওডিআই সিরিজেও পাকিস্তানকে পরাজিত করল বাংলাদেশ।
১৬৭ রানের অনেকটা সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই বাংলাদেশের দুই প্রমীলা ওপেনার মাঠে নামে। দুই ব্যাটার বেশ আশাব্যঞ্জক ব্যাটিং শুরু করেন এসেই। ইতিবাচক ব্যাটে প্রথম ১০ ওভারে ৪০ রান আসে বাংলাদেশের।
দুইজন এগিয়ে যাচ্ছিলেন দলীয় ১০০ রানের দিকে। এরমধ্যে ফারজানা হক নিজের ফিফটি পূরণ করেন, ৯০ বলে। বাংলাদেশের রানও শতক পূরণ করে, ২৭.৩ ওভারে।
মুরশিদা খাতুনও নিজের অর্ধশতক তুলতে আর দেরি করেননি, ৮৮ বলে তা তুলে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল দল।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ১২৫ রানে। ১১৩ বলে ৬২ রান করে নাশরা সান্ধুর ডেলিভারিতে ফেরেন ফারজানা। মুরশিদা ফিরতেও দেরি করেননি, একই বোলারের শিকার হয়ে ১০৬ বলে ৬৪ করে বিদায় নেন।
তখন একপাশ ধরে আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ফাহিমা খাতুন কোনো বল না খেলেই রানআউটের শিকার হলে, সোবহানা মুস্তারী’কে নিয়ে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক।
৩৯ রানের অপরাজিত জুটিতে, জ্যোতির ব্যাটে আসে ১৮ রান। আর অন্যদিকে মুস্তারীর ব্যাটে ১৯ রান। ৪৫.৪ ওভারে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তানের মেয়েরা। দুই ওপেনারের কিছুটা স্লো কিন্তু কার্যকরী শুরুতে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। নাহিদা আক্তারের ডেলিভারিতে সাদাফ শামাস ৩১ রানে ফিরলেও সিদরা আমিন বেশ প্রতিশ্রুতির সাথে একপাশ আগলে রইলেন।
অবশ্য শামাসের ফেরার পর সেই প্রান্তে আর কেউ দাঁড়াতে পারছিলেন না। মুনিবা আলি’র ফেরা ১৪ রানে। বিসমাহ মারুফও যখন ফিরলেন, দলের রান ১০৩।
এরপর কিছুটা বিরতি দিয়ে উইকেট পতন ঘটতে থাকে পাকিস্তানের। তবে তখনো সিদরা ছিলেন একপ্রান্তে। ফিফটি তুলেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। দিয়ানা বেগ লেজের দিকে ১১ টি রান যোগ করেছেন। ফিরেছেন নাহিদার শিকার হয়ে। নাহিদার পকেটে গিয়েছে ৩ উইকেট। শেষপর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
সিদরা অপরাজিত ছিলেন ১৪৩ বল খেলে ৮৪ রানে। অন্যদিকে সাদিয়া ইকবাল ৮ বল খেলে ৫ রানে।