

এসব জায়গায় পরিবর্তনটা মানুষ দেখতে চায়। নতুন কেউ, নতুন চিন্তা, পরিকল্পনা– এভাবেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ‘পরিবর্তন’ কথাটা যেন কালেভদ্রে শোনা যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল এবার আশা প্রকাশ করেছেন, তাঁকে বিসিবি কোনো দায়িত্ব দিলে, তা তিনি নিবেন যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে।
আশরাফুলের আশা করার জায়গা আছে। ক্রিকেট নিয়েই তিনি থাকতে চান। দেশের ক্রিকেটে প্রথম ‘সুপারস্টার’ এমন তকমা আছে তাঁর নামে। মাঝে বিতর্ক তৈরি করেছেন নিজের নামের সাথে। আবারও ফিরেছেন। জাতীয় দলে ফেরা না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন বা খেলছেন। দেশের ক্রিকেট নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলাপ আলোচনা করে থাকেন বিভিন্ন জায়গায়। এবার স্পোর্টস চ্যানেল ‘টি স্পোর্টস’ এর সাথে কাজ করতে ভারতে আছেন। কাছ থেকে খেয়াল করছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হালচাল।
গতকাল পুনে’তে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে আশরাফুল নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতির কথা তুলেছেন, যিনি প্রায় ১২ বছর ধরে বোর্ডের সাথে যুক্ত।
“অবশ্যই। একটা মানুষ ১২ বছর ধরে আছেন। শুধু আমি নই বিশ্বে সবজায়গায়। হয়তো আমি আরেকবার বলেছিলাম। তিনি উদাহরণ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার একজন ছিলেন। তখন অস্ট্রেলিয়া টানা ১২–১৩ টেস্ট জিতেছিল। ওটা হিসাব করবেন না। আমাদের সবশেষ তিনটি আইসিসির ইভেন্ট ভালো হয়নি। এবারও ভালো হয়নি। দুটি ম্যাচ জিতে আটে আছি।”
“এ কারণে অবশ্যই নতুন ব্রেন দরকার। এটা লম্বা সময়ে থাকার পজিশন নয়। এটা ২–৪ বছর থাকার পজিশন। নতুন মানুষ এলে নতুন ভাবনা আসবে। ২৩ বছরে ১০–১২ কোচ কেন পরিবর্তন করলাম। নতুন কিছু চিন্তার জন্যই তো পরিবর্তন করেছি।”
দেশের এই সাবেক অধিনায়ক বাস্তবতা জানেন। তিনি যুক্ত করেছেন দেশের অন্যান্য খাতের কথা। কমবেশি সব জায়গায় যে ‘কোয়ালিটি’ বিষয়টা উপেক্ষিত, তা জনগণ ভালোভাবেই জানে। সেক্ষেত্রে নতুনদের প্রতি ভরসা রাখা, নতুনদের চিন্তা গ্রহণ করার ক্ষমতায় আস্থা রাখার ব্যাপারে নিজের মত তুলে ধরেন আশরাফুল।
“ওই মানের কোনো খাতেই কোয়ালিটি জিনিস নেই। আপনাদের কাছে নাম জিজ্ঞেস করলে আপনারা নাম খুঁজে পাবেন না। এটাই আসলে সমস্যা। নাম না পেলেও এই লেভেলে কিছু যারা খেলেছে, তাদের সুযোগ দিলে তাহলে নতুন নতুন আইডিয়া আসবে। একই আইডিয়া নিয়ে ১২ বছর ধরে আছেন, এখন পরিবর্তন আসা উচিত।”