

জিতেও নিশ্চিত হয়নি নিউজিল্যান্ডের সেমি যাত্রা। তবে বলা যায় শীর্ষ চারে এক পা দিয়ে রাখা গেল। আজ শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ১৬০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় কিউইরা। বর্তমানে দশ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে।
বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পেরেরা’র দ্রুত রান তোলা কিছুটা স্বস্তির ছিল বটে। বোল্টের ৩ উইকেট, আরও ৩ বোলারের দুইটি করে উইকেট ভাগ করে নেওয়া– শ্রীলঙ্কাকে আটকে দেয় ১৭১ রানে। জয় তুলতে কঠিন হয়নি নিউজিল্যান্ডের। তিন ব্যাটারের ব্যাটে এসেছে ৪০ এর উপরে রান। ৫ উইকেট হারালেও ২৪তম ওভার খেলতে গিয়েই সহজ জয় তোলে কিউইরা।
১৭২ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার মতোই পাওয়ারপ্লে কাজে লাগায় দলটি। তবে তা উইকেট সামলিয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম দশ ওভারে ৭৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
অল্প লক্ষ্যে, তখনই প্রেরণা পেয়ে যায় কিউইরা। অবশ্য পর পর দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে তাঁরা। দলীয় ৮৬ রানে ডেভন কনওয়ে এবং ৮৮ রানে রাচিন রবীন্দ্র ফিরে যান। দুজনেই আটকে যায় ৪০ এর ঘরে, করা হয় না ফিফটি।
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সাথে ড্যারিল মিচেলের ব্যাট ঘুরতে থাকে। উইলিয়ামসন অবশ্য ১৪ এর বেশি যোগ করতে পারেননি। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। মিচেল অবশ্য ছিলেন এক পাশে।
এরমধ্যে মার্ক চ্যাপম্যান এসে রানআউটের শিকার হয়েছেন। তখন নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৫। জয়ের দোরগোড়ায় এসে ম্যাথুসের ডেলিভারিতে ক্যাচ হয়ে ফিরলেন মিচেল, ৩১ বলে ৪৩ রান করে।
বাকি কাজটা সমাধা করলেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম মিলে। ফিলিপস অপরাজিত রইলেন ১০ বলে ১৭ রান করে। অন্যদিকে লাথাম ২ বলে ২ রান করে।
নিউজিল্যান্ড ২৩.২ ওভারে জয় তুলে নেয়।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে রানের চাকা ঠিক রাখলেও, উইকেটের চাকা ভেঙে পড়ে। প্রথম দশ ওভারে দলটি হারায় ৫ উইকেট। অবশ্য এতে পুরো ভূমিকা হিসেবে দেখা দিয়েছে ওপেনার কুশল পেরেরা’র ইনিংস। পঞ্চম উইকেট পতনের আগে পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ব্যাট চালিয়ে গেছেন তিনি, যখন অন্যপাশে উইকেট পড়ছে একে একে।
শুরুটা করেছিলেন টিম সৌদি দ্বিতীয় ওভারেই। পাথুম নিশানকা’কে ফিরিয়ে। কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা– তিন ব্যাটারই ফেরেন এক ডিজিটে। ব্যতিক্রম সেখানে কেবল পেরেরা।
ট্রেন্ট বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে যখন আসালাঙ্কা ফিরেছেন, তার পরের ওভারেই দলীয় রান ৭০ থাকতেই লোকি ফার্গুসনের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে ২৮ বলে ৫১ করা পেরেরার ফেরা। ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ২ ছক্কা।
এরপর দু’টি জুটি শ্রীলঙ্কার রান কিছুটা বাড়িয়েছে। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা মিলে গড়েছিলেন ৩৪ রানের জুটি। ম্যাথুস ও সিলভা– দুজনেই মিচেল স্যান্টনারের বলে ফিরেছেন, যথাক্রমে ১৬ ও ১৯ রানে।
দলের রান তখন শতক ছাড়িয়েছে কেবল। শেষ জুটিতে মাহিশ থিকশানা ও দিলশান মাদুশানকা মিলে ৪৩ টি রান তোলেন। থিকশানা অপরাজিত ছিলেন ৯১ বলে ৩৮ রান করে। ৪৬.৪ ওভারে রাচিন রবীন্দ্র’র শিকার হয়ে মাদুশানকা ফিরলে ১৭১ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।