

‘টাইমড আউট’ এর নিয়মটা সব খেলোয়াড়দেরই জানা, কেউ না মানলে তার হওয়া উচিত। এবং এমনটাই হল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। সময় নষ্ট করে আউট শিকার কোনো বল না খেলা লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যেটা করেছেন তার দলের কথা চিন্তা করেই করেছেন। ঠিক সময়ে ঠিক আইনটা ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট তুলে নেওয়াটা সাকিবের বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে এমনটা সাকিব ও বাংলাদেশের কাছ থেকে মোটেও আশা করেননি ম্যাথুস।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করা হয়েছে। এখানে অবৈধ কিছু করা হয়নি। দলের স্বার্থে যেটা প্রয়োজন সাকিব সেটাই করেছে। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে টাইমড আউটের মাধ্যমে আউট হলেন ম্যাথুস। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকের মতেই, এই আউটের আবেদন করে সাকিব আল হাসান ক্রিকেটীয় স্পিরিট নষ্ট করলেন।
সেই বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠে ম্যাচ শেষে যখন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সংবাদ সম্মেলন কক্ষে কথা বলতে আসেন। প্রথমে দিলেন, তার সাথে এদিন দিল্লিতে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা। এরপর তিনি রীতিমতো বাংলাদেশ দল, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে অপমান করেছেন। আঙুল তুলেছেন অনফিল্ড আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের দিকেও,
‘আমি ভুল কিছু করিনি। ক্রিজে যাওয়ার জন্য আমার হাতে ২ মিনিট সময় ছিল। আমি সেটা করেছি। সেখানে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আমি জানি না তখন তাদের কমনসেন্স কোথায় ছিল? সাকিব এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি অবশ্যই খুবই অসম্মানজনক ছিল। যদি তারা এভাবে ক্রিকেট খেলতে চায় এতটা নিচে নেমে তাহলে আমার মনে হয় এখানে কিছু একটা গলদ আছে। কারণ যদি আমি দেরি করে থাকতাম তাহলে (একটা কথা ছিল)। আইন অনুযায়ী ২ মিনিটের মধ্যে আমাকে ক্রিজে চলে যেতে হবে। যখন আমার হেলমেট ভাঙল তখনও আমার হাতে ৫-১০ সেকেন্ডের মত সময় বাকি ছিল। আম্পায়াররাও আমাদের কোচকে বলেছে যে তারা আমার হেলমেট ভাঙার বিষয়টি খেয়াল করেননি। এখানে আসলে বিষয়টি শুধুই কমনসেন্সের। এখানে মানকাডিং বা অবস্টাক্টিং ফিল্ড নিয়ে আমি কথা বলছি না। এটা কমনসেন্সের বিষয়। বিষয়টি একদমই অসম্মানজনক।’
‘আসলে আজকের আগ পর্যন্ত আমার তার প্রতি এবং বাংলাদেশ দলের প্রতি অনেক সম্মান ছিল। আমরা সবাই জেতার জন্যই খেলি। যদি এমন হত যে এটি নিয়মের মধ্যে তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। নিয়মে বলা আছে আমাকে ২ মিনিটের মধ্যে ক্রিজে যেতে হবে। আমাদের কাছে ভিডিওসহ প্রমাণ আছে। আমি কেবল এসেই এখানে কথা বলছি না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমার হাতে হেলমেট ভাঙার পরেও আরও ৫ সেকেন্ড সময় বাকি ছিল। এখন কি আমি হেলমেট ছাড়াই গার্ড নেব? আমরা তো ক্রিকেটারদের সুরক্ষার ব্যাপারে কথা বলি তাই না? এখানে পুরোটাই কমনসেন্সের ব্যাপার। আম্পায়াররাও এখানে আরও দায়িত্বশীল হয়ে ঘটনাটা চেক করে দেখতে পারতেন।’