

দিল্লি এসে দূষিত বায়ুর মধ্যেই স্বস্তির বাতাস খোঁজে পেল বাংলাদেশ, আর পাত্তা না দিয়ে সাকিবরা উড়িয়ে দিল লঙ্কানদের। নানা নাটকীয়তার এক ইনিংস শেষ করে শ্রীলঙ্কা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৭৯ রান। জবাব দিতে নেমে সাকিব-শান্ত মিলে এবারের বিশ্বকাপে এনে দিলেন প্রথম একশো রানের জুটি। দুজনেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ৩ উইকেটের জয়ে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়ে বাংলাদেশ এখন টেবিলের সাতে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ অনেক আগেই, তবে আজকের জয় বাংলাদেশের টিকে রইল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন। বল হাতে দুই ব্রেকথ্রু এনে দেওয়া সাকিব ব্যাটিংয়েও টানলেন দলকে। অধিনায়ক এমন অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের দিন সহজেই বাংলাদেশ তুলে নেয় ৩ উইকেটের জয়।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের পর এমন সমীকরণ দাঁড়ায়, বাংলাদেশ জিতলেই নেদারল্যান্ডসকে টপকে অষ্টম স্থানে উঠবে; আর যদি ৪১.২ বা তার কম ওভারের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছায় তবে শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে সপ্তম স্থানে হবে বাংলাদেশের জায়গা। সাকিব, শান্তর পর মুশফিক, রিয়াদ, হৃদয়ের ব্যাটে মিলে যায় সমীকরণ। শেষবেলায় দাপট দেখিয়ে ৪১.১ ওভারেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা চারিথ আসালাঙ্কা খেললেন তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ১০৮ রানে চড়েই বাংলাদেশকে ২৮০ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের ব্যাট অবশ্য শুরুটা বাংলাদেশ পেয়েছিল দারুণ। কিন্তু হঠাৎই যেন তামিমের ছন্দপতন। পাওয়ার প্লেতে বল হাতে পুরো আসর জুড়েই চমক দেখিয়ে যাওয়া দিলশান মাদুশঙ্কার বলেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম।
ব্যাক টু ব্যাক ছক্কায় বড় ইনিংসের আভাস দিয়েও লিটন দাস থেমে যান ২৩ রানে। দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে লেগ বিফোরে উইকেট হারিয়ে রিভিউ না নিয়েই প্যাভিলিয়নে যান লিটন। এরপরের গল্পটা লিখেন সাকিব, শান্ত মিলে। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম কোনো জুটির একশো রান দেখল দল।
শান্তর পর সাকিবও তুলে নেন ফিফটি। দুজনেই স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটছিলেন শতকের পথে। কিন্তু সাকিবের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন সেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ভাঙে ১৪৯ বলে খেলা ১৬৯ রানের জুটি। পরপর দুই ওভারে ম্যাথুস একাই তুলে নেন সাকিব, শান্তর উইকেট। ফেরার আগে ৬৫ বলে সাকিব ১২ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ৮২ রানের ইনিংস।
৯০ রানে থাকা শান্ত হয়েছেন বোল্ড। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম মিলে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হন। ৩৮ ওভারে মুশফিক বোল্ড মাদুশাঙ্কার বলে, পরের ওভারে রিয়াদের স্টাম্প ভাঙেন।