

দিল্লিতে বাতাসের অবস্থা খুব বাজে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা বেশ মুশকিলের কাজ। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। দিল্লীতে ম্যাচ হওয়ায় বেশ বিপাকেই আছে দুই দল। বাংলাদেশ বিপাকে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়েও। আজ ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ।
এখন আসলে খুব বেশি কিছু বলার নেই। খেলোয়াড়দের, না কোচের। শেষ হয়ে আসছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। কোনো সম্ভাবনা টিকে নেই। আছে কেবল দুইটি ম্যাচ। সম্ভাবনার কথা বললে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আলোচনা কেবল উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে কিছুটা।
সম্মেলনকক্ষে দিল্লিতে বাতাসের সাথে সাথে উঠে এসেছে আরও নানা প্রশ্ন। তার একটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাথুরুসিংহের রেকর্ড প্রসঙ্গে।
উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেন,
“আমাদের খেলতে হবে নিজের সেরাটাই। পিচ ও মাঠ দারুণ, যে মাঠগুলোতে খেলছি এর মধ্যে এটাই হয়ত সেরা। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ বেশ কিছু জমজমাট ম্যাচ খেলেছে। দুই দলই প্রায় একই অবস্থায় আছে সত্যি বলতে, চাইছে যতটা সম্ভব উপরে থাকা যায়। দুই দলই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে। আমাদের মনোযোগ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে কারা উপরে থাকবে।”
আফগানিস্তানের সাথে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তা অবশ্য মোটেও ধরে রাখতে পারেনি দল। একে একে হারতে হয়েছে টানা ছয় ম্যাচ। দলের এই খারাপ অবস্থার দায় নিলেন প্রধান কোচ।
“কোচ হিসেবে আমি সব দায়ভার নিচ্ছি। আমরা সমর্থকদের তো হতাশ করেছিই, আমাদেরও হতাশ করেছি। প্রথম ম্যাচ ও আজকের মধ্যে কোনো কিছু বদলে যায়নি। পরিবর্তনের ব্যাপারটা শুধু আমাদের কানেই আসছে। আমাদের স্কিল বদলে যায়নি। অনেক বেশি আশা থাকায় আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা এখনও আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। কোথায় ভুল ছিল খুঁজে বের করতে হবে। আমি কোচ থাকব কি না এটা তো আমার হাতে নেই, বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।”