

পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখনো টিকে রইল! আজ বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৪০২ রানের পাহাড়-সমান লক্ষ্য মোকাবিলা করতে যেয়ে বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল। রাচিনের সেঞ্চুরি, উইলিয়ামসনের নব্বইয়ের ঘরের ইনিংস মলিন করে দিয়ে, ফখরের ১২৬ রান শোভা পেল সবখানে। বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের জয় ২১ রানের।
৪০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই একাদশে ফেরা টিম সাউদির ডেলিভারিতে উইকেট হারান আব্দুল্লাহ শফিক। মনে হচ্ছিল কিছুটা চাপেই পড়ে যায় কি না তাঁরা! কিন্তু না। ফখর জামান, ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন প্রচণ্ড আক্রোশে। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারেই উঠে গেল ৭৫ রান।
দলের যখন ১০০, ওভার তখন মাত্র ১৫ চলছে। এদিকে ফখর ছাড়িয়েছেন নিজের অর্ধশতক। বাবরও খেলে যাচ্ছেন সুযোগ বুঝে। ফখর নিজের শতক পূরণ করেছেন মাত্র ৬৩ বলে! পাকিস্তান ২০তম ওভারেই দলীয় রান নিয়েছে ১৫০ এ!
মাঝে বৃষ্টির বাঁধায় পরবর্তী সময়ে যখন খেলা শুরু হয় তখন ৪১ ওভারে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৪২ রানের। পাকিস্তান তখনো বৃষ্টি আইনে ১০ রান এগিয়ে ছিল। এরমধ্যে ইশ সোধিকে নিয়ে আসলে সোধির দুই ওভারে আসে ৩২ রান। আস্তে আস্তে আবারও বৃষ্টির আগমন ঘটে। পাকিস্তান তখন ২১ রান এগিয়ে বৃষ্টি আইনে।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর এগিয়ে থাকা পাকিস্তানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ফখর অপরাজিত ছিলেন ৮১ বলে ১২৬ রানে। অন্যদিকে বাবর অপরাজিত ছিলেন ৬৩ বলে ৬৬ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ৩৫ রানে এসে হাসান আলির ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেও, রাচিন রবীন্দ্র ছিলেন। একেবারে শতক হাঁকিয়ে, তবেই ফিরেছেন। আজ একাদশে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনে নামা উইলিয়ামসন ও রাচিন মিলে গড়ে তুললেন অনবদ্য জুটি।
সেই জুটি ১৮০ তে গিয়ে ঠেকে। এই জুটির কল্যাণেই বড় রানের সাহস পেয়ে বসে নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। উইলিয়ামসন ও রাচিন ফিরেছেন কাছাকাছি সময়ে। রাচিনের ব্যাটে সেঞ্চুরি আসলেও, ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন অধিনায়ক। তবে ঠিকই খেলেছেন ৭৯ বলে ৯৫ রানের ইনিংস।
ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান মিলে দলের রান ৩০০ ছাড়িয়ে নেন। শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপসের ২৫ বলে ৪ রানের ইনিংস, মিচেল স্যান্টনারের অপরাজিত ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস নিউজিল্যান্ডের রান পৌঁছে দেয় ৪০০ তে। শেষপর্যন্ত ৫০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।