

বাংলাদেশ দলের আবহ মোটেও ভাল নয়। তা সাধারণ দর্শকরা যেমন বোঝে, বোঝেন আরও অনেকেই। দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ভারতে যাওয়ার পর বেশ কয়েকবারই মুখোমুখি হয়েছেন গণমাধ্যমের। সেখান থেকেও দলের পরাজয় পরবর্তী সময়ে বারবার উঠে এসেছে এই আবহের কথা। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানও একের পর এক ব্যর্থ ইনিংস খেলে যাচ্ছেন। অনেক বেশি চাওয়ার পরেও সেই ব্যর্থতা ঘুচছে না। গতকাল আরও একবার বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ।
কণ্ঠে হতাশা। কিছু একটা করতে চাওয়ার পর সেই করতে না পারার তীব্র এক আকুতি। কিন্তু তবুও ব্যর্থতার বৃত্তে বারবার বন্দি। বাংলাদেশ দল, দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ, অধিনায়ক সাকিব- কেউ বাদ নেই। সাকিব গত বিশ্বকাপে যে পারফর্ম করেছে, তার সিকিভাগও দিতে পারেনি এই বিশ্বকাপে।
“সাকিব তো নিজের ১০ ভাগও দিতে পারেনি। এটা সাকিবও বুঝে খুব ভালোভাবে। এজন্যই সে ঢাকায় গিয়েছিল ট্রেনিং করতে হয়তবা। সে জানে সে কতটা ডেসপারেট পারফর্ম করার জন্য। খালি ওর পারফরম্যান্স না ও চায় দল জিতুক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দল জিততে পারছে না পারফর্ম করছে। সে যেভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে পারফর্ম করেছে হয়ত অধিনায়ক হিসেবে এবার সেভাবে পারফর্ম করতে পারছে না।”
“শুধু সাকিবের একার দোষ দিয়ে লাভ নেই, দলে তো সাকিব একা খেলে না আরও ১০ জনও খেলে। অধিনায়কের দায়িত্ব তো ভিন্ন। খেলোয়াড় হিসেবে ত সবার দায়িত্ব এক। দিনশেষে সবারই দায়িত্ব নিতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি সাকিবের একার ব্যর্থতা না।”
আমাদের যেমন ক্রিকেট, তার ২০-৩০ ভাগও খেলতে পারিনি- এমনই মত খালেদ মাহমুদ এর। এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’তে খেলা নিয়েই জেগেছে শঙ্কা। এখন বাংলাদেশ সেটা নিয়েই ভাবছে। তবুও দিনশেষে বেঁচে থাকতে হবে। সবকিছুর পরেও। সেই কথাটিও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি দলের ডিরেক্টর।
“দিনশেষে বেঁচে থাকতে হবে। কালকে আবার সূর্য উঠবে। মানুষকে তো বেঁচে থাকতে হবে, চলতে হবে, খেতে হবে, ঘুরতে হবে। আমাদের সবার চেয়ে বেশি খারাপ হয়ত ওদেরই লাগছে। ওরাও অনেক ব্যথিত আসলে। ড্রেসিংরুমটা অনেক নীরব হয়ে গেছে আসলে বলতে গেলে।”