নিউজিল্যান্ডের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আফগানিস্তান

আফগানিস্তান
Vinkmag ad

সর্বশেষ চার ম্যাচে জয় পেল আফগানিস্তান। পাকিস্তানকে সরিয়ে পয়েন্ট-টেবিলের ৫ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে দলটি। আজ নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে হাশমতউল্লাহর দল। সেমিফাইনালের সম্ভাবনা এখনো জিইয়ে রেখেছে তাঁরা। আজকের জয়ে সেটা আরেকটু বাড়ল।

ভারতের লক্ষ্ণৌতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শেষ হলো খুব অল্পতে। ব্যাটিংয়ে এঙ্গেলব্রেখটের ৫৮ ও ও’ডাউডের ৪২ রান ছিল ইনিংস সর্বোচ্চ। ৪ জন ডাচ ব্যাটার হয়েছেন রানআউটের শিকার। দলীয় রান গিয়ে থামে ১৭৯ রানে। আফগানরা সহজ রান তাড়া করতে গিয়ে দুই ওপেনারের সুবিধা তেমন নিতে না পারলেও, হাশমতউল্লাহ ও রহমত- দুজনেই অর্ধশতক পূরণ করেন। ফলে আফগানদের জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি।

সহজ ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান দলের খুব বেশি পরিশ্রম হয়নি ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে। মারকুটে ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ অবশ্য আজ ফিরেছেন খুব দ্রুত। ১১ বলে ১০ রানেই। ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে এসেছে ২০ রান।

এরপর রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদি মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন। সেই জুটি আফগানদের দলীয় রান ১০০ ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। দলীয় ১২৯ রানে রহমতের উইকেট তুলে নেন সাকিব জুলফিকার। তবে ততক্ষণে নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ব্যাটার।

বাকি পথটা অধিনায়কের সাথে নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৩২তম ওভার খেলতে গিয়ে নিজেদের পক্ষে জয় নিয়ে আসে আফগানরা। হাশমতউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬৪ বলে ৫৬ রানে। অন্যদিকে আজমতউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৩১ রানে।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু দৃঢ়তার অভাব খুব স্পষ্ট ছিল দলটির মধ্যে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ওপেনার ওয়েসলি বারেসি লেগ বিফোরের শিকার হন মুজিব উর রহমানের ডেলিভারিতে। এরপর অবশ্য জুটি গড়ে তোলেন ম্যাক্স ও’ডাউড ও কলিন অ্যাকারমান মিলে।

এই দুজনের ৬৯ রানের জুটি ছিল ইনিংস সর্বোচ্চ। দলীয় ৭৩ রানে ও’ডাউড রান আউটের শিকার হয়ে ৪২ রানে ফিরে যান। অ্যাকারমান ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও ফিরেছেন দলীয় ৯২ রানে। এবং দুজনেই হয়েছেন রানআউট। রানআউটের ভূত যেন চেপে বসেছিল নেদারল্যান্ডসের উপর।

বাস ডি লিড, সাকিব জুলফিকার, লোগান ভ্যান বিক ফিরেছেন দ্রুতই। একপাশ আগলে ছিলেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। এই ব্যাটারও অসময়ে এসে রানআউটের শিকার হয়ে ফিরলে, ডাচদের কপালে তখন চারটি রানআউটের গল্প। আর এই ব্যাটার ফিরেছেন সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলে।

তখন দলীয় রান ১৫২, নেদারল্যান্ডসের ৮ উইকেট পড়ে গেছে। ভ্যান ডার মারওয়ে ও পল ভ্যান মিকরিনের উইকেট তুলতে তেমন আর দেরি করেননি আর আফগান বোলাররা। দলীয় ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস, তখন ৪৭ ওভারের খেলা চলছিল।

৪ টি রানআউট বাদেও মোহাম্মদ নবী ডাচদের ৩ টি উইকেট তুলে নেন।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

বিশ্বকাপে শাদাবের বদলি আবরার

Read Next

শুধু সাকিবকে দোষ দিয়ে লাভ নেই: সুজন

Total
0
Share