

মাঠে কোহলি থাকা আর রেকর্ডের পাতায় নতুন নতুন জিনিস যুক্ত হওয়া, এই দুইয়ের সমন্বয় বেশ পুরোনো। আবার শচীন টেন্ডুলকারের সাথে কোহলির যে একটি ‘তুলনা’ বা রেকর্ডের প্রতিযোগিতা, যা অলিখিত বা লিখিত চলতে থাকে– তাও এখন পুরোনো। সে থেকেই কোহলি ভেঙেছেন শচীনের আরেকটি রেকর্ড।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে মাঠে নেমেছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার শুরুটা আজ ভালো হয়নি। তাই ভিরাট কোহলিকে ক্রিজে আসতে হলো খুব তাড়াতাড়ি। আর তাতেই লম্বা ইনিংস খেলবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মনে হলো তাঁকে।
অবশ্য কোহলিকে তা সবসময়ই দেখতে লাগে। মনে হয়, আজ কিছু একটা করবেন। কিছু না হলেও তো একটা সেঞ্চুরি। যা করেই কিনা অভ্যস্ত এই ভারতীয়। তবে সেটা হয়নি, সেঞ্চুরি হলে বরং আরেকটি রেকর্ডও গড়ে ফেলতেন তিনি, শচীনের মতো ৪৯ টি শতকের মালিক হতেন।
কোহলি আজ ফিরেছেন ৯৪ বলে ৮৮ রান করে। এই ৮৮ রানের মধ্যেই এই নম্বর ৩ ব্যাটার এক ক্যালেন্ডার বছরে ১ হাজার রান তুলেছেন। এতে করে মোট ৮ বার এই কীর্তি গড়লেন তিনি। যা শচীনের ৭ বারের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯– এবার বাদে এই ৭ বছর কোহলি ১ হাজার রান তুলেছেন নিজের ব্যক্তিগত খাতায়, সাথে দল হয়েছে উপকৃত বারবার।
টেন্ডুলকার এখনও এক ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে আছেন। ১৯৯৮ সালে ১৮৯৪ রান তুলেছেন এই ভারতীয় কিংবদন্তি।
কোহলির পকেটে ঢুকেছে অবশ্য আরেক রেকর্ড। ওডিআই ক্রিকেটে ১১৮ বার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেললেন, আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে করা ৮৮ রান দিয়ে। যা তাঁকে আরেক লঙ্কান ‘গ্রেট’ কুমার সাঙ্গাকারার সমান করে দিল।
এদিকে আজ ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। প্রথমে ব্যাট করে ভারত পুরো ৫০ ওভার খেলে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে। এই বড় সংগ্রহে কোহলির ৮৮ রান ছাড়াও, শুবমান গিলের ৯২ রান, শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে আসে ৮২ রান।