

হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে ফিরছে বাংলাদেশ। চেষ্টা ও আশা সবই করছে দল, কিন্তু ভাগ্যের সহায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে, জানিয়েছেন মিরাজ। শরিফুলের কথাতেও তেমনই প্রমাণ মেলে। এই ভাগ্য কীসে ফিরবে, তা এক প্রশ্ন। প্রতিবেশী দেশে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের জন্য যেন এই টুর্নামেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে গলার কাটা।
হারতে হারতে কোলকাতা পর্যন্ত এসেছে বাংলাদেশ। এখানে নেদারল্যান্ডসের সাথে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ফলাফল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় দল। বল করতে এসেও তেমন আশাব্যঞ্জক কিছু দেখাতে পারেনি বোলাররা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রাও এত অল্প!
তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম ম্যাচ খেলছেন নিয়মিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন। দল হতাশ, তেমনই দলের খেলোয়াড়েরাও, শরিফুল ঘুরেফিরে বলেছেন চেষ্টা আর সামনের সময়ের কথা।
সাকিবের পারফর্ম্যান্স প্রসঙ্গে প্রশ্ন এলে দলের এই পেসার বলেন, “আসলে উনি কিন্তু বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে অনেক ভালো খেলেছে। সেই হিসাবে সবারই চাওয়া থাকে। এখন ব্যর্থ হলে আর কী বা করার থাকে। চেষ্টা করছে হবে সামনে।”
ব্যাটসম্যানদের পারফর্ম্যান্সে কমতি নিয়েই ভারত এসেছে বাংলাদেশ দল। আশা ছিল বোলারদের প্রতি, আরও স্পষ্ট করে বললে, দলের পেস বোলারদের প্রতি। অ্যালান ডোনাল্ডের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া এক পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে তো আলোচনা সব জায়গায়। কিন্তু সেখানেও হতাশ করেছে পেসাররা। বাংলাদেশ প্রায় সব ম্যাচেই ৩ পেসার নিয়েই মাঠে নেমেছে। তাই বিশ্বকাপটা শেষ হলেই কি শরিফুলের স্বস্তি?
“না না। এমন কিছু না। সময় খারাপ হচ্ছে কিন্তু কখনও ভাবিনি বিশ্বকাপ শেষ হলে বেঁচে যাই। আমি চেষ্টা করছি কীভাবে কামব্যাক করব। আসলে এটা কী বলব। আমি চেষ্টা করছি, তারা অনেক ভালো শট খেলেছে।”