

সাকিবের কি কণ্ঠস্বর বদলে গেছে? নিজেই বলে আবার নিজেই উত্তর দিলেন। এই পরিস্থিতি পারফরম্যান্স দিয়েই বদলানো সম্ভব। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। আজ পাকিস্তান ম্যাচের আগেও এসেছেন। দলের যা অবস্থা, তাতে কণ্ঠস্বর বদলে গেলেও আসলে তেমন অবাক হওয়ার থাকে না।
নেদারল্যান্ডসের কাছে ম্যাচ হেরে পুরো দল হারিয়েছে মনোবল। অবশ্য শুধু এই ম্যাচ নয়, হারের বৃত্তে আবর্তিত হয়ে আছে তো বাংলাদেশ প্রায় বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। জয়টা এসেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেই ৭ অক্টোবর।
ডাচদের বিপক্ষে হারের পর বোর্ড সভাপতি খেলোয়াড়দের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। এরপর গণমাধ্যমের সাথেও কথা বলেছেন। খেলোয়াড়দের প্রতি করা সমালোচনার যুক্তিও দেখিয়েছেন, আবার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মোটা দাগে। বিশ্বকাপে আসার আগে সর্বশেষ বাংলাদেশ দল খেলেছিল নিউজিল্যান্ড সিরিজ।
সাকিব আল হাসানের কাছে এক প্রশ্ন গেল, যেখানে কিউইদের বিপক্ষে খেললে, সাকিবের কিছু উন্নতি হতো কি না, এই প্রসঙ্গে। কারণ বিশ্বকাপে ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থাতেই আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। যেখানে গত বিশ্বকাপেরই অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন সাকিব।
“নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেললে ভালো হত কি না এই আলোচনা আমি এখন করতে চাই না। ফলাফলের পর এগুলো বলা সহজ। আগে বলা কঠিন। আমি বাদে সবাই-ই খেলেছে। যারা বিশ্রামে ছিল তারাও শেষদিকে খেলেছে। একটা ম্যাচ হলেও খেলেছে। এগুলো এখন খুবই অপ্রাসঙ্গিক। টুর্নামেন্ট শেষ হলে বিস্তর আলোচনা করা যেতে পারে। এখনও আমাদের মনোযোগ বিশ্বকাপে।”
বাংলাদেশের হাতে এখন ৩ ম্যাচ। আগামীকাল তাঁরা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপরের ম্যাচ দু’টি অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। জয়ের বিকল্প নেই। এটা তো সত্যি। আর এর সাথে এসে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৫ এর জন্য কোয়ালিফাই করার সমীকরণ।
সাকিবের কথাতেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিষয়ক আলাপ। এরপর জানা যায়, এই কোয়ালিফাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে অবগত ছিল না কিছু বোর্ড। অবশ্য সাকিব বললেন, তাঁরা জানতেন। আর সেই থেকেও তো জানিয়েছেন। গ্রুপপর্ব শেষে থাকতে হবে সেরা আটে। এখান থেকে শীর্ষ ৭ দল ও আয়োজক পাকিস্তান মিলে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে।
“হ্যাঁ অবশ্যই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি একটা লক্ষ্য। তবে কত উপরের দিকে শেষ করা যায় সেটাও তো একটা লক্ষ্য। আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম সেভাবে করতে পারিনি। তবে এখান থেকেও যদি যে কয়টা ম্যাচ আছে ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো ফলাফল আসে, তাহলে হয়ত স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারব। তখন রিফ্লেক্ট করতে পারব কি কি করলে ব্যাটার হত।”