

পাকিস্তান ক্রিকেটের অস্থিরতা যেন থামছেই না। একদিকে খেলোয়াড়েরা মাঠের খেলায় হতাশ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বোর্ড তাঁদের নানা কার্যকলাপ নিয়ে মাঠের বাইরে সরব অবস্থানে থাকছেন। অধিনায়ক, প্রধান নির্বাচক নিয়ে সমালোচনা। সাবেকদের মন্তব্যে একেবারে অস্বাভাবিক যখন পরিস্থিতি- তখন উত্থান ঘটল নতুন আরেক ঘটনার।
পাকিস্তানি এক টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। সেখানে উপস্থাপক এক প্রসঙ্গ তোলেন, আশরাফ নাকি অধিনায়ক বাবর আজমের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন না। এই আলাপের মূল অভিযোগকারী অবশ্য সাবেক পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ।
লতিফ পূর্বে বলেছিলেন, বাবর যোগাযোগ করতে চাইলেও পিসিবি চেয়ারম্যান সেটি উপেক্ষা করে যান। আর সেই থেকেই উপস্থাপকের এই প্রশ্ন। আর এই সময় আশরাফ নিজের জবাবখানা দিতে গিয়ে কিছুটা তালগোল করে ফেলেন।
প্রথমে ঠিকই ছিল। উত্তর দিয়েছেন,
“সে (লতিফ) বলেছে আমি তাঁর (বাবর) কল ধরি না। সে কখনোই আমাকে কল করেনি। দলের অধিনায়ক কথা বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিচালকের সাথে বা প্রধান অপারেটিং অফিসারের সাথে।”
এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু আশরাফ এর প্রমাণও দিতে গেলেন। যেখানে তিনি বাবরের সাথে দলের প্রধান অপারেটিং অফিসার সালমান নাসেরের কথোপকথন উপস্থাপকের সাথে আদান-প্রদান করেন। এবং সেটা টেলিভিশনেও দেখানো হয়। পরে উপস্থাপকের বক্তব্য থেকে জানা যায়, আশরাফের সমর্থন ছিল এতে।
সেই কথোপকথনে নাসের বাবরকে লিখেছেন,
“বাবর, এখানে কিছু খবর টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে যে, তুমি চেয়ারম্যানকে কল করেছ কিন্তু সে উত্তর দেয়নি। তুমি কি সম্প্রতি তাঁকে কল দিয়েছ?”
উত্তরে বাবর লিখেছেন, “সালাম সালমান ভাই, আমি স্যারকে কোন কল দেইনি।”
এটা স্পষ্ট নয় যে, বাবর একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যক্তিগত বার্তা প্রকাশ করতে সম্মতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে পিসিবি প্রধানের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন অনেকেই, কারণ ব্যক্তিগত বার্তা ফাঁসকে গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসাবে দেখা হয়ে থাকে।