ভারতের ছক্কায় টাইগারদের নিচেই রইল ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড 5
Vinkmag ad

ইংল্যান্ডের কপালে জুটলো আরও এক হার। এবার স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ অল্পতেই থেমে যায়, ২২৯ রান। তবে সেই অল্পই যেন অনেক বেশি হয়ে ধরা দিল ইংলিশ শিবিরে। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই দলের ব্যাটিংয়ের করুণ দশা বাটলারদের। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১২৯ রানে। আজ ১০০ রানের জয় তুলে, ভারত এখনও রইল অপরাজিত।

সর্বশেষ কয়েকটি ম্যাচ থেকেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো। যেন কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছে না তাঁরা। ২১৫, ১৭০, ১৫৬, আর আজ ১২৯। এই ছিল শেষ কয়েক ম্যাচে ইংলিশদের দলীয় সংগ্রহ। সংবাদ সম্মেলনে জস বাটলারের হতাশা ভরা কণ্ঠের প্রতিচ্ছবি আজও দেখা গেল লক্ষ্ণৌ’য়ের মাঠে। লো-স্কোরিং এক ম্যাচে ইংলিশদের লো-স্কোর যেন সব ছাপিয়ে গেল।

জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান মিলে শুরুতে যে ৩০ রান তুলেছেন, সেটাই ছিল ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। দলীয় ত্রিশ রানেই জাসপ্রীত বুমরাহ’র পর পর দুই বলে মালান ও জো রুট ফিরেছেন, বোল্ড ও লেগ বিফোর হয়ে। মালান তুলতে পেরেছেন ১৬ টি রান, রুটের কপালে ছিল ‘গোল্ডেন ডাক’- বেন স্টোকসও যে ফিরলেন মোহাম্মদ শামির চমৎকার এক ওভারে, রুটের মতোই ‘শূন্য’ রানে, শুধু পার্থক্য স্টোকস ১০ টি বল খেলেছেন।

আর এদিকে অধিনায়ক আজও ব্যর্থ। ব্যর্থ অধিনায়কের আগেই বেয়ারস্টোর উইকেটটিও নিজের করে নিয়েছেন শামি। সরাসরিই বোল্ড। বাটলার যখন কুলদীপ যাদবের ‘অসম্ভব’ ধরনের স্পিনে কুপোকাত, দলের রান তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫২।

মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন মিলে দলের খাতায় ২৯ রান যোগ করলেন। মনে হচ্ছিল, উদ্বোধনী ৩০ রান পেরিয়েই যাবেন তাঁরা। তবে সেটা আর হয়নি। লাইন আর লেন্থের মিশেলে করা শামির ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হলে মইন, ফিরলেন ১৫ রান করে। ক্রিস ওকসের সাথে আরও কিছু রান যোগ করেছেন লিভিংস্টোন। দুইজন ফিরেছেনও পর পর দুই ওভারে, দলীয় রান ৯৮ তে রেখে।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রান, যা ঐ লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকেই আসে। ৯৮ থেকে ডেভিড উইলি ও আদিল রাশিদ মিলে দলকে টেনে নিলেন আরও কিছুটা দূর। সেই দূর থেকে আরও বহুদূর তখনও লক্ষ্যমাত্রা। ২৪ রানের সেই জুটি ভাঙ্গলেন উড়তে থাকা শামি, স্টাম্প ভেঙে তুলে নিলেন নিজের চতুর্থ উইকেট। উইলিকে কে একা করে মার্ক উডের ফেরাটাও তার পরের ওভারেই, বুমরাহ’র ডেলিভারিতে। ৩৪.৫ ওভারেই ইংল্যান্ডের দৌড় এসে থামল ১২৯ রানে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। টপ-অর্ডারের দায়িত্ব রোহিত শর্মার কাঁধে গিয়েই পড়ল। ব্যর্থ ছিলেন শুবমান গিল, ভিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ারও। যথাক্রমে ফিরেছেন, ৯, ০, ৪ রানে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কোহলিকে এদিন কোন রান না করেই বিদায় নিতে হয়েছে। তবে একপাশ আগলে দলকে সামনে ও সামলে নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

লোকেশ রাহুলের সাথে গড়া ৯১ রানের জুটিতেই, অন্তত লড়াই করার সাহস পায় স্বাগতিকরা। যেভাবে ইংলিশ বোলিংয়ের তোপে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল ব্যাটাররা, সংগ্রহ হতে পারত আরও কম।

রাহুল ফিফটি তুলতে পারেননি। ডেভিড উইলি যে ৩ উইকেট নিয়েছেন, তার একটির শিকার এই ভারতীয় উইকেটরক্ষক। সূর্যকুমার যাদবের সাথে ১৫ বল সঙ্গ দিয়ে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ তুলেছেন রোহিত। ১০১ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। ১০ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো, যেমন হয় তাঁর ইনিংসগুলি সাধারণত।

হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে একাদশে আসা যাদব সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন, তবে ভারতের ইনিংস শেষ করে আসার কাজটুকু সারতে পারেননি। মাঝে রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রীত বুমরাহ’র সঙ্গ পেয়েছেন।

বুমরাহ শুধু যোগ্য সঙ্গটুকু দিতে পারলেন, ২৫ বলে ১৬ রান করে ছিলেন অপরাজিত। আর ৪৭তম ওভারেই ফিরতে হয়েছে যাদবকে, ৪৭ বলে ৪৯ রানে। কুলদীপ যাদব ৯ রানে রানআউটের শিকার হয়েছেন ইনিংসের শেষ বলে। মোহাম্মদ সিরাজকে নামতে হয়নি। ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২২৯ রান।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আইসিসির সিদ্ধান্তে ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ

Read Next

মাইকেল ভনকে ওয়াসিম জাফরের খোঁচা

Total
0
Share