
বিশ্বকাপের গ্রুপ-পর্ব শেষ হওয়ার পর যে ৭ টি দল শীর্ষে থাকবে, সাথে আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তান, এই ৮ দল খেলবে ২০২৫ এর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খুব একটা কথাই কেন ওঠেনি, তা এক আশ্চর্যজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যদি খেলতে হয় র্যাংকিংয়ের ৮ এর মধ্যে থাকতে হবে।”- সেখান থেকে কিছুটা টনক নড়েছে এই ব্যাপারে।
র্যাংকিং ৮ বলতে সাকিব মূলত বুঝিয়েছেন, বিশ্বকাপের পয়েন্ট-টেবিলের কথা। অথবা কে জানে, আইসিসি র্যাংকিংয়ের কথাই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা কী হবে, তা বেশ কিছু বোর্ডের কাছে সেভাবে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ দলের অবশ্য এই নিয়মে বেশ শঙ্কাই তৈরি হয়েছে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে সাকিবের দলকে বাকি ৩ ম্যাচের মধ্যে অন্তত ২ টি জিততে হবে, তবেই টেবিলের ৮ নম্বরে থাকা সম্ভব।
আইসিসির একজন মুখপাত্র ক্রিকেট-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’কে নিশ্চিত করেছেন যে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্যতা পদ্ধতিটি ২০২১ সালে আইসিসি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। তবে এই বিষয়টি বেশ কিছু ক্রিকেট বোর্ড’কে অবাক করেছে। যারা বিশ্বকাপে খেলছেন। পাশাপাশি যে দলগুলি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি, উভয়কেই। তাঁরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই সচেতন ছিলেন না।
এই মুহূর্তে, বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড পয়েন্ট-টেবিলে যথাক্রমে ৯ ও ১০ নম্বর পজিশনে অবস্থান করছে। মূলত শীর্ষ ৭ দলের সাথে, আয়োজক পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য কোয়ালিফাই করবে। এর মানে হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের মতো অন্যান্য পূর্ণ-সদস্য দেশগুলি, যারা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পায় নি, তাঁরা ২০২৫ এর টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জনের সুযোগও পাবে না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০১৩ ও ২০১৭ সংস্করণের জন্য, একটি কাট-অফ তারিখ ছিল। যেখানে ওডিআই র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল এই ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এটি বোঝা যায় যে এই বিশ্বকাপে শীর্ষ সাতটি দলকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্যতা অর্জন করার সিদ্ধান্তটি মূলত আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। পরে আইসিসি বোর্ড সুপারিশটি অনুমোদন করে।