

বিশ্বকাপে এখনও পাকিস্তান দল আশানুরূপ কিছু দেখাতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর যে হারের বৃত্তে দলটি ঢুকেছে, তা থেকে মেলেনি মুক্তি। আরও ৩ টি ম্যাচ বাকি আছে দলটির। সেমিফাইনালের রঙও ধূসর হয়ে গেছে। এদিকে দলের এই অবস্থায় সমালোচনার তীব্র স্রোত বইছে অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচকের উপর। যদিও দলের ডিরেক্টর মিকি আর্থার বলেন, দল খারাপ করেছে ঠিকই কিন্তু এতে এই দুই বা অন্যদের দোষ দেওয়ার আদতে কিছু নেই।
আর্থারের কথা আর কে মানছে! সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, দর্শক-ভক্ত; সবাই মিলেই পাকিস্তানের সমালোচনায় মুখর। চাপে আছেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এই চলমান ব্যর্থতায়, সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। বাবরের আজমের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে।
ইনজামাম বেশি দিন হয়নি পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হয়েছেন। গত আগস্টেই মাসে নিয়োগ হয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপ একটি বড় ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ ছিল এই সাবেক অধিনায়কের উপর। তবে দলের ব্যর্থতায় তাঁর উপর বেশ নাখোশই মনে হচ্ছে সর্ব-সাধারণকে। বোর্ডও হয়ত সে পথেই হাঁটছে। এমতাবস্থায় ইনজামামকে এত দ্রুত সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হলে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ বোর্ডের প্রদান করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইনজামামের সাথে বোর্ডের চুক্তি ছিল ৪ বছরের। যেখানে মাসিক আড়াই মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বেতন দেওয়া হতো তাঁকে। এবং চুক্তিতে এমন ছিল যে, যদি কোন কারণে সময়ের আগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ছয় মাস আগে সেটা নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। একটি সূত্র নিশ্চিত করে যে, বোর্ড যদি তাঁকে এই মুহূর্তে সরিয়ে দেয়, তবে পিসিবির প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পাকিস্তানের মাঠের ক্রিকেট যে শুধু ‘বিপদ’ এ পড়েছে তা নয়। বরং বোর্ডের দিক থেকেও যথেষ্ট বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তাঁরা। কিছুটা অস্থির সময়ই পার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট। দলটির পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৩১ অক্টোবর, বাংলাদেশের বিপক্ষে, কোলকাতায়।