

সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে পুনেতে। সেখানেই অনুশীলনের সময় বাম উরুতে আঘাতের কারণে লাহিরু কুমারা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন। শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডে তাঁর বদলি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দুশমান্থ চামিরা’কে। যিনি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার হয়ে চোটের বদলি হিসেবে আসা তৃতীয় খেলোয়াড়। চামিরা নিজেও টুর্নামেন্ট শুরু আগে ইনজুরিতে ছিলেন।
চামিরা শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। অন্তত পেস ইউনিটে। কিন্তু ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেননি। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ছিঁড়ে যাওয়া পেক্টোরাল পেশির কারণে সব ধরনের খেলার বাইরে ছিলেন এবং তা থেকে সেরে ওঠার পর, আগস্টে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) আবার ইনজুরিতে পড়েন।
অক্টোবরের ১৯ তারিখ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের সাথে ভারতে আসেন চামিরা। মূলত শ্রীলঙ্কা স্কোয়াডের ‘ট্রাভেলিং রিজার্ভ’ হিসেবে। এসে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না, লাহিরুর ইনজুরি তাঁকে মূল স্কোয়াডে সুযোগ করে দিল। এর আগে ম্যাথুসও স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে এক ম্যাচ খেলেও ফেলেছেন। মূলত মাথিশা পাথিরানার ইনজুরির কারণে ম্যাথুসের সুযোগ মেলে। অন্যদিকে চামিকা করুনারত্নেও দলে ঢুকেছেন নিয়মিত অধিনায়ক দাসুন শানাকার কোয়াড ইনজুরির কারণে।
চামিরা হয়ত স্বাভাবিকভাবেই দলে ঢুকে যেতে পারতেন, যেখানে শ্রীলঙ্কার পারফর্ম্যান্স খুবই সাধারণ। সাথে লাহিরু থাকলে বরং লঙ্কান দলের শক্তিমত্তা বৃদ্ধি পেত। যেখানে সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোন ও বেন স্টোকসের উইকেট তুলে নিয়েছেন লাহিরু। যেটা ছিল এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় জয়।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড (হালনাগাদকৃত):
কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), কুশল পেরেরা, পাথুম নিশাঙ্কা, দুশমান্থ চামিরা, দিমুথ করুনারত্নে, সাদিরা সামারাবিক্রমা (উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মাহিশ থিকশানা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, কাসুন রাজিথা, দিলশান মাদুশানকা, দুশান হেমন্ত, চামিকা করুনারত্নে।