

সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটে ট্যাগ-লাইন হিসেবে ‘চোকার্স’ শব্দটা বহুদিন থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। দর্শক, সমর্থক, গণমাধ্যম- সবাই এই শব্দের ব্যবহার করে এখন স্বাচ্ছন্দ্যেই। যদিও এত স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে তা করার কথা ছিল না। কিন্তু দলটার অবস্থা নানা সময়ে নানা পরিস্থিতিতে পড়ে ‘ফেভারিট’ হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও, আর ভাল ফল নিয়ে বের হওয়া হয়ে ওঠে না। অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলার অবশ্য ‘চোকার্স’ শব্দের সাথে নিজের বিশ্বাসের পার্থক্য দেখেন।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ম্যাচ বিতর্কের জন্ম দিল। সাউথ আফ্রিকার সহজ ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২২ রান দরকার ছিল ১৩ বলে। বৃষ্টির বাগড়ায় এমন এক সমীকরণ দাঁড়ায়, যেখানে ১ বলে দরকার পড়ে ২২ রান। হতবাক আর বিস্ময় ছাড়া কিছুই দেখেনি সেদিন প্রোটিয়া বাহিনী!
এরপর নানা সময়ে সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটে দারুণ সব খেলোয়াড়েরা খেলে গেছেন। শক্তিশালী দল হিসেবেই বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁদের আবির্ভাব ঘটে প্রায়ই। কিন্তু কোথায় গিয়ে যেন এক হোঁচট- বার বার থমকে দেয়।
বলা হতো, সেমিফাইনাল পর্যন্তই নাকি সাউথ আফ্রিকার দৌড়। কতরকম কথাই যে বাজারে আছে দলটিকে নিয়ে। অভিজ্ঞ প্রোটিয়া ব্যাটার ডেভিড মিলার অবশ্য দলের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন এবারও।
“আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আমরা ‘চোকার্স’ নই। কীভাবে এই ট্যাগ লোকদের প্রভাবিত করে, তা নির্দিষ্ট এক বিষয়। কিন্তু এটা কখনোই আমাকে বিরক্ত করেনি। শুধু বলছি না, সত্যিই বলছি। হ্যাঁ অবশ্যই, ইতিহাস আছে এবং কিছু খেলা আছে, যেগুলো আমরা ভাল খেলিনি, আমাদের নিচে নামিয়েছে। কিন্তু আমি কখনোই বলব না, ‘চোকার্স’ ট্যাগ আমাদের উপর প্রযোজ্য, যদিও সবাই তাই বলে। আমি কখনোই এটা বিশ্বাস করিনি।”
এরচেয়ে বরং মিলারের বিশ্বাস ইতিবাচক। তাঁর বিশ্বাস, সাউথ আফ্রিকার দারুণ এক দল রয়েছে। ভাগ্যের ব্যাপারেও এই ব্যাটসম্যান কিছুটা প্রত্যাশিত কণ্ঠ শুনিয়েছেন। খেলায় যে ভাগ্য-বিধাতার দরকার পড়ে, তা ক্রিকেটাররা ছাড়া আর কে ভাল বোঝেন!
আগামী ৭ অক্টোবর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সাউথ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। উল্লেখ্য যে, দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই পেসার আনরিখ নরকিয়া ও সিসান্দা মাগালা ইনজুরির কারণে স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন। সাউথ আফ্রিকা দলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিবেন দারুণ ফর্মে থাকা ব্যাটার টেম্বা বাভুমা।