

৬ পেসার, তিন স্পিনার দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে ইংল্যান্ড। এদিন অভিজ্ঞ লিটন, শান্ত, মুশফিক ব্যর্থ হলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোলারদের বিপক্ষে লড়াই কেবল তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের। তামিম পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও ফিফটি হাঁকিয়ে মিরাজ খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। মাত্র ৪ ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংকের ঘর।
বৃষ্টিতে কমে এসে নির্ধারিত হওয়া ৩৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৮৮। বৃষ্টির পর ৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে কেবল ৩৫ রান।
গৌহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে আজ টস জিতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের শুরুতেই নো বল, ওয়াইডের লম্বা এক ওভার করে রিস টপলি খরচ করেন ১৩ রান। নিজের পরের দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন এই টপলিই। লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ হন ৫ রান করা লিটন দাস।
পরের ওভারে টানা পাঁচ বল ডট খেলে শেষে বলে আলগা শটে ক্যাচ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভালো কোনো ডেলিভারিতে অবশ্য দুই উইকেটের একটিও পাননি টপলি। ব্যক্তিগত ২ রান নিয়ে অধিনায়ক শান্ত প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে তামিমকে সঙ্গ দিতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এদিন দ্রুত লিটন, শান্ত বিদায় নিলেও দারুণ ছন্দে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মতোই স্ট্রোক্সের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তামিম। তবে ফিফটি হাঁকানোর আগেই মার্ক উডের শিকার হয়েছেন। ইনসাইড এজে স্টাম্প ভাঙার আগে ৪৪ বলে খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। ৭ চার ও ১ ছক্কায় তামিম সাজান তার এই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
৭৮ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে বাকি পথ দেখাতে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মুশফিকের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন আদিল রাশিদ। দারুণ এক গুগলিতে আদিল তুলে ফেললেন মুশফিকের স্টাম্প। ১৫ বল খেলা মুশফিক করতে পারেননি ৮ রানের বেশি। এর মাঝেই লিভিংস্টোনকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পঞ্চাশ পূর্ণ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬২ বলে ৭টি চারে মিরাজ ছুঁয়েছেন ফিফটি। পরের ওভারেই আদিল রাশিদকে এগিয়ে এসে ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেরার আগে ২১ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে সাজানো তার ১৮ রানের ইনিংস।
৩০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান যখন ১৫৩; তখন আসে বৃষ্টি বাধা। ঝুমবৃষ্টির কবলে পুরো মাঠ ঢাকা হয়েছে কাভার দিয়ে। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬০ ও তাওহীদ হৃদয় ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বৃষ্টি শেষে ম্যাচ নেমে আসে ৩৭ ওভারে।
কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেট হারান তাওহীদ হৃদয়। স্যাম কারেনের বলে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ লুফে নেন। এরপর ডেভিড উইলি এক ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ৭৪ রান করা মিরাজ হয়েছেন বোল্ড। নাসুম আহমেদ ফিরলেন ডাক হয়ে, ইনসাইড এজ হয়ে তিনিও হলেন বোল্ড।
শেখ মেহেদী হাসানও এদিন ইংলিশ পেস অ্যাটাকের সামনে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। ৫ বলে ৩ করে রিস টপলির ইয়র্কারে পরাস্ত, হারিয়েছেন স্টাম্প। বাংলাদেশ হারায় নবম উইকেট। তাসকিন আহমেদ ১২ ও শরিফুল ইসলাম ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৮৮ রানে।