

তামিম ইকবালের ভিডিও বার্তা দেখে বেজায় চটেছেন বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়া জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তামিম ইকবালকে আফগানিস্তান ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে বলা হয়েছে বিসিবির উচ্চ পদ থেকে। এমন তথ্য তামিম জানালেও পরিষ্কার করে সেই নির্দিষ্ট একজনের নাম না বলায় সুজনের মতে, ‘এতে সন্দেহের মধ্যে সবাই’।
২০২৩ বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ দল এখন ভারতের গৌহাটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আজ লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সাথে। এর আগের দিন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কথা বলেছেন ক্রিকেট৯৭ এর সাথে। তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ে দিয়েছেন ভিডিও বার্তা, এরপর প্রকাশ্যে এসেছে সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার।
এ সব বিষয় নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন শোনালেন দলের বর্তমান অবস্থা। তার মতে, এই কান্ডে কোনো প্রকার প্রভাবই পরেনি দলে। খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে বিশ্বকাপে দারুণ শুরুর অপেক্ষা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার শুনে সুজনের মনে হয়েছে, সাকিব এখন ১৩ বছরের নিচের বাচ্চা নয়, সে বুঝেই তার বক্তব্য দিয়েছে।
‘আমার মনে হয় যে যার ভাবনা থেকেই বলেছে। এটা তো ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, দুজনেই যথেস্ট ম্যাচিউরড কথা বলার জন্যে। তামিমকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে কথাগুলো বলার জন্য, যদি বলা হয় সাকিবকে আমরা কেউ শিখিয়ে দিয়েছি; সম্পূর্ণ ভুল।’
‘সাকিব এখন আর ১৩ বছরের নিচের বাচ্চা নয়। সাকিব যথেস্ট বুদ্ধিমান ছেলে, যথেস্ট ম্যাচিউরড, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ান অব দ্য লিজেন্ড, আমি মনে করি। সুতরাং ও যেটা বলবে নিশ্চয় কিছু মিন করেছে। ও তো সব কিছু ভেঙে বলে না। ও যেটা ভালো মনে করে বলেছে। ড্রেসিংরুমে আমি একবছর ছিলামই না, তাই কি নিয়ে বলেছে আমি কি করে বলব।’
তামিমকে বাদ দেওয়া ইস্যুতে এখন আর ভাবতে চান না খালেদ মাহমুদ সুজন। এখন যারা স্কোয়াডে আছে তাদের মধ্যে সুজন দেখেছেন ভালো কিছু করার তাড়না। সুজনের মতে, কোনো ব্যক্তির চেয়ে অবশ্যই দল বড়।
‘কোনো ব্যক্তির থেকে আমি মনে করি সবসময় দল বড়, দলের থেকে দেশ বড়। কাউকে নিয়ে এখন পরে থাকলে তো হবে না। যে এটা হলে ওটা হত, অনেক কিছু হলে অনেক কিছুই হতে পারত। যেটা আছে সেটা নিয়ে আমরা কিভাবে যুদ্ধ করতে পারি। বিশ্বকাপ একটা কঠিন জায়গা। ছেলেরা যদি মাথাটা ঠিক রাখতে পারে, বেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারে, আমরা চেষ্টা করব। পেছন নিয়ে পরে থাকলে হবে না, আমাদের সামনে এগোতে হবে। এই ঘটনা দলে কোনো প্রভাবই পড়েনি। ওরা ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছে।’
টাইগারদের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেশ ছাড়ার দিন ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি তাকে নাকি ফোন করেছিলেন। সেখানে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় তিনি যেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে না নামেন। এমনকী, খেলতে নামলেও তার ব্যাটিং অর্ডার যেন নিচের দিকে নামিয়ে আনা হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কে তামিমকে এই ফোনটা করেছিলেন।
এই ইস্যুতে খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, তামিমকে সেই ব্যক্তির নাম বলা উচিত ছিল। তার কাছে প্রমান থাকলে কে সে বলছে না?
‘সত্যি কথা বলতে গেলে তামিম যদি এরকম কথা বলে থাকে, তামিমেরই বলা উচিত কে বলেছে, কেন বলেছে, কি জন্যে বলেছে। সরাসরিই বলা উচিত, একজন বলেছে, সে একজন কে, এইটা ক্লিয়ার করা দরকার। আপনি একটা কথা বলাতে সবাইকে সন্দেহে ফেলে দিয়েছেন। এইটা তো ঠিক না। আপনার কাছে প্রমান থাকলে বলে দেন না, কে বলেছে।’