

প্রায় এক বছর পর মিরপুরের মাঠ আবার দেখতে পেলো টেস্ট ক্রিকেটের মুখ। আর বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া লড়াইটা মাঠে গড়ালো বছর এগারো পরে। শেরে বাংলার মাঠে টস জিতে ব্যাটিংটাই বেছে নিয়েছিলেন কাপ্তান মুশফিকুর রহিম।

শুরুতে দারুণ ধাক্কা খেলেও সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৬ রান।
প্রায় দুই বছর পর নাসির হোসেনের ফিরে আসার টেস্টে বাদ পড়েছেন মমিনুল হক। কোচ হাথুরুসিংহের কাছে শেষ পর্যন্ত বোধহয় দেশের মানুষের আবেগের চেয়ে সেরা দল বাছাই করটাই যথার্থ মনে হয়েছে। ঢাকা টেস্ট শেষ হলেই উত্তর জানা যাবে ঠিক কতটা সেরা দল বাছাই করতে পেরেছেন কোচ!

টানা দুই টেস্টে তিন অর্ধশতকের দেখা পাওয়া সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে তামিম ইকবাল নেমেছিলেন নিজের ৫০তম টেস্ট ম্যাচে। তবে সৌম্য ঠিক সেভাবে সমর্থনটা জোগাতে পারেননি তামিমকে। দলীয় ১০ রানে ফিরেছেন প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে।
সৌম্যর পতনের পর পরের কয়েকটা মুহুর্ত বাংলাদেশের জন্য বিভীষিকা হয়েই দাঁড়িয়েছিল। ১০ রানের সাথে আর কোন রান যোগ না করেই বিদায় নিয়েছেন ইমরুল কায়েস এবং সাব্বির রহমান। শূন্য হাতে সাজঘরের রাস্তায় হেঁটেছেন দুজনই। ইমরুল খেলেছিলেন ৬ বল আর সাব্বির বিদায় নিয়েছেন প্রথম বলেই।

তামিমেরই সবচেয়ে কাছের বন্ধু আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও মাঠে নেমেছেন সাদা পোশাকে মাঠে নামার অর্ধশতক পূরণ করতে। আর সে ম্যাচেই দল পড়েছে ভীষণ চাপে। ৩ উইকেটে ১০ রান থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের পায়ের নিচের মাটিটা শক্ত করছেন তামিমকে সঙ্গে নিয়ে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ দুজনের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৮৬ রান। সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৪৮ রান নিয়ে অপেক্ষায় আছেন নিজের ২২তম টেস্ট অর্ধশতকের। অন্যদিকে তামিম ইকবালের সংগ্রহ হার না মানা ৩৩ রান।
বাংলাদেশের পতন হওয়া তিন উইকেটের তিনটিই গিয়েছে কামিন্সের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসঃ ৯৬/৩ (২৮ ওভার) সাকিব ৪৮*, তামিম ৩৩*, সৌম্য ৮, কায়েস ০, সাব্বির ০। প্যাট কামিন্স ৩/২৯