

গতকাল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে প্রথমবারের মতো ‘মানকাড’ ইতিহাস তৈরি হয়েছে স্বাগতিকদের পক্ষ থেকে। সেই ইতিহাস আবার গড়িয়েছে ‘ক্রিকেটীয়-চেতনা’ নামক উদাহরণে গিয়ে। ইশ সোধি ফিরে যাচ্ছিলেন, লিটন দাস সিদ্ধান্ত দিলেন সোধিকে যাতে আবারও ক্রিজে নিয়ে আসা হয়। সোধি আসলেন, বোলার হাসান মাহমুদের সাথে কুশলাদিও করে নিলেন। মিরপুর তখন গর্জন করছে, প্রশংসা আর কি এক আনন্দে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সোধি। ম্যাচে তাঁর অর্জন ৬ উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড দল ২৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। তা ভেদ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। সোধি নিজের পকেটে তুলে নিয়েছেন ৬ টি উইকেট। দিয়েছেন মাত্র ৩৯ টি রান। তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ১৬৮ রানে।
সোধি বলেন, “আমি স্পিন বোলিং ভালোবাসি। নিউজিল্যান্ডে অনেক লেগ স্পিনার উঠে আসছে দেখে আমি বেশ খুশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও এখানে একটা কারণ। আমি শেন ওয়ার্নের মত হতে চাইতাম ছোটবেলায়।”
ওয়ার্নের মতো হতে চাওয়া সোধি এদিন মাঠে নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ‘মানকাড-ঘটনা’ এর সাথে জড়িয়ে গেল সোধি’র নাম। ম্যাচ শেষে তাই সেসব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন গেল এই স্পিনারের কাছে।
“আগের দিনে এসবক্ষেত্রে ব্যাটারকে কিছুটা সতর্ক করে দেওয়া হত। তবে এখন নিয়ম সেরকম নেই, আমি তা জানি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটি দারুণ জেশচার ছিল। আমি বেশ ভাগ্যবান ছিলাম যে তারা আমাকে ফিরিয়ে এনেছিল। আমি বোলার হলে এরকম পরিস্থিতিতে একই কাজটা করতাম।”
সোধি কী অবাক হয়েছেন?
উত্তর, “অতটা না আসলে। আমি খুব একটা ভালো ব্যাটার নই (হাসি)।”
তিনি আরও বলেন, “পরবর্তীতে এমন কোনো পরিস্থিতিতে আমি বোলার হলে এমন কিছুই করব। নিউজিল্যান্ডে অনেক দারুণ অধিনায়কদের অধীনে খেলেছি। আমি মনে করি তারাও এই কাজটি করতেন। লিটন দাস পরিস্থিতিটি যেভাবে সামাল দিয়েছে তা দুর্দান্ত ছিল। ক্রিকেটের মাঠে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই বোলারের সাথে পরে হাত মিলিয়েছি। আমরা নিজেদের দেশকে জেতানোর ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ক্রিকেটের জন্য এমন ঘটনা দারুণ।”